পশ্চিমা মিত্ররা ট্যাংক দিয়ে ইউক্রেন সংঘাতে সরাসরি জড়িয়েছে: রাশিয়া

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইউক্রেনকে আধুনিক ট্যাংক সরবরাহ করেছে বার্লিন এবং ওয়াশিংটন। তাদের এই সরবরাহকে ইউক্রেন সংঘাতের পক্ষে মত দেওয়া বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন। খবর এএফপির।

ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলির ইউক্রেনকে আধুনিক ট্যাঙ্ক সরবরাহ করার সিদ্ধান্তের অর্থ হল তারা সংঘাতের পক্ষ ছিল।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইউরোপীয় রাজধানী এবং ওয়াশিংটন ক্রমাগত বিবৃতি দেয় যে ট্যাংকসহ বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র পাঠানোর অর্থ কোনোভাবেই শত্রুতায় তাদের জড়িত হওয়া নয়। দৃঢ়ভাবে আমরা এর সাথে একমত নই। মস্কোতে, এটি সংঘর্ষে সরাসরি জড়িত বলে মনে করা হয় এবং আমরা দেখতে পাই যে এটি বাড়ছে।’

এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে ১৪টি লিওপার্ড-২এ৬ ট্যাংক দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে জার্মানি। মিত্র দেশের এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে ৩১টি শক্তিশালী এম১ আব্রামস ট্যাংক পাঠাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছে, চলমান এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট। এর ফলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিজয়ের পথে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ট্যাংক পাওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ‘মুক্ত বিশ্ব’ ইউক্রেনের মুক্তির জন্য আগের মতো অভিন্ন লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ।

জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনকে ট্যাংক দেওয়ার বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনে পশ্চিমাদের ট্যাংক পৌঁছানোমাত্রই তা পুড়িয়ে দেবে তারা। ইউক্রেনকে ট্যাংক দেওয়াকে ‘একটি ব্যর্থ পরিকল্পনা’ মন্তব্য করে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এই দামি ট্যাংকগুলো অন্য সবকিছুর মতো নিমিষেই জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হবে।’

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তথ্য অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত অন্তত ১৬টি দেশের কাছে লিওপার্ড-২ ট্যাংক রয়েছে। ইউক্রেন মনে করছে, অত্যাধুনিক এমন ৩০০ ট্যাংক পেলে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে পারবে।

তবে ক্রেমলিন বলছে, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে ট্যাংক সরবরাহ করলেও তাতে বাস্তবতার কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। বরং রাশিয়াকে হারাতে পশ্চিমারা যে ভ্রমের মধ্যে আছে সেজন্য তাদের অনুশোচনা করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এসএটি)