ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে আসছে আইন, খসড়া তৈরি

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫১ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য আইন করতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ‘ডিজিটাল বাণিজ্য আইন-২০২৩’ নামে এই আইনের খসড়াও তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে।

করোনাপরবর্তী সময়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের ঘটনা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এ জন্য সরকার এই খাতের ওপর নজরদারি বাড়াচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এর আগে ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এবার অঅইন করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ডিজিটাল বাণিজ্যের ধারাবাহিক প্রসার, শৃঙ্খলা রক্ষা, সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধ, দমন, বিচার এবং ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা।

আইনটি বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে, যাতে একজন মহাপরিচালক (ডিজি) ও তিনজন পরিচালক থাকবেন।

খসড়া অনুযায়য়ী আইনটি কার্যকর হওয়ার চার মাসের মধ্যে পণ্য বিক্রি ও সেবা দেওয়ার অনলাইন পেজ ও ফেসবুক পেজভিত্তিক সব ডিজিটাল বাণিজ্যপ্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা শুরুর আগে ডিবিআইডি নিবন্ধন বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আইনের খসড়া প্রণয়নের পর সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। আরও বৈঠকের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

খসড়ায় আর বলা হয়েছে, পণ্য পরিবহন ও লজিস্টিকস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস আইনের অধীনে নিবন্ধন নিতে হবে, এবং এজন্য উভয়পক্ষের মধ্যে চুক্তি থাকতে হবে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পণ্যপরিবহন ব্যবস্থা থাকলে এই নিবন্ধন ও চুক্তি করতে হবে না।

এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে পণ্য পার্সেল ও সেবা ট্র্যাকিং করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। পণ্যপরিবহনের সুবিধার্থে গুদাম থাকাও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে আইনে। আইনে গ্রাহকদের সুবিধামতো ক্যাশ অন ডেলিভারি অথবা অগ্রিম মূল্য পরিশোধের সুযোগ থাকবে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, সরাসরি ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা অনলাইন বিক্রেতার ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমার সুযোগ থাকবে না কোনো অবস্থাতেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকতে হবে।

পণ্য ও সেবার উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ, প্রস্তুতকারক ও প্রস্তুতের স্থান, মূল্য এবং আনুষঙ্গিক সব বিষয় বিশদভাবে উল্লেখ করতে হবে- এমন বিধান রয়েছে আইনের খসড়ায়। এছাড়াও বিদেশি পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রেও আমদানিকারকের বিবরণ থাকতে হবে। বিক্রির জন্য প্রদর্শিত পণ্য ও সেবার বিপরীতে কতটি ক্রয়াদেশ দেওয়া যাবে, তাও উল্লেখ করতে হবে।

খসড়ার বিধান অনুযায়ী কোনো নিত্যপণ্য একই দ্রব্য হলে পাঁচটি এবং শৌখিন হলে সর্বোচ্চ দুটি কিনতে পারবেন একজন ক্রেতা। তবে শৌখিন দ্রব্যের মূল্য এক হাজার টাকার কম হলে পাঁচটির ক্রয়াদেশ দেওয়া যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এফএ)