কিশোরগঞ্জে হলুদের হাতছানি

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:১৯

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ

যত দূর চোখ যায় কেবলই হলুদের হাতছানি। এ যেন প্রকৃতির নরম গালিচা। সাথে মৌমাছির মধুর গুঞ্জন। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে ভরপুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল, করিমগঞ্জ, ইটনা, ভৈরব উপজেলার গ্রামে গ্রামে সরিষার মৌসুমে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মধু সংগ্রহ করতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন মৌ চাষিরা। এ বছর জেলায় ৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিনে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ১ হাজার হেক্টর জমির সরিষা চাষে মধু সংগ্রহের বাক্স বসানো হয়েছে। সরিষা চাষ মৌসুমে সর্বোচ্চ তিনবার মধু সংগ্রহ করা হয়।

এতে করে এ বছর জেলায় ১০/১১ টন মধু সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব এপি কালচার-এর পরিচালক জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চলতি রবি মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ উপজেলাতেই সরিষার আবাদ হয়েছে। জেলায় মোট আবাদকৃত জমির পরিমাণ ৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর। উপজেলাওয়ারি জমির পরিমাণ হোসেনপুরে ১৭০ হেক্টর, কিশোরগঞ্জ সদরে ৭০ হেক্টর,পাকুন্দিয়ায় ৫২৫ হেক্টর, কটিয়াদীতে ৫৪৫ হেক্টর, করিমগঞ্জে ১৫৮০ হেক্টর, তাড়াইলে ৭৫৫ হেক্টর,ইটনাতে ৪৬৫ হেক্টর, মিঠামইনে ১০০ হেক্টর, নিকলীতে ৩৩৫ হেক্টর, অষ্টগ্রামে ১৭৫ হেক্টর, বাজিতপুরে ১০৭৫ হেক্টর, কুলিয়ারচরে ৩১০ হেক্টর ও ভৈরবে ২৫৪৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন।

সরিষা চাষিরা বলছেন, সরিষা ক্ষেতগুলো সাধারণত দেড় মাসের মতো ফুলে ফুলে ভরে থাকে। যতদিন ফুল থাকে, ততদিনই চলে মধু সংগ্রহ।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এলএ/এসএ)