ইরানে আজারবাইজান দূতাবাসে সশস্ত্র হামলায় নিহত ১

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪০ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইরানের রাজধানী তেহরানে আজারবাইজানের দূতাবাসে সশস্ত্র হামলায় এক প্রহরী নিহত হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘হামলাকারী গার্ড পোস্ট ভেদ করে, একটি কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে নিরাপত্তার প্রধানকে হত্যা করে। শুক্রবারের হামলায় আরও দুই প্রহরী আহত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

তেহরানের পুলিশ বলেছে, তারা একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং হামলার পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত করছে।

পুলিশ প্রধানের বরাত দিয়ে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি দুটি ছোট বাচ্চাকে নিয়ে দূতাবাসে প্রবেশ করেছিল। ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ থেকে সে হামলা করে থাকতে পারে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ আউটলেট প্রেস টিভির শেয়ার করা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারী একা দূতাবাসে প্রবেশ করছে এবং বিল্ডিংয়ের ভিতরে গুলি ছুড়ছে। তার আগে সে একজন ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া করছিল। ব্যক্তিটি তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন।

ইরানের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ শাহরিয়ারিকে উদ্ধৃত করে বিচার বিভাগের বার্তা সংস্থা মিজান জানিয়েছে, বন্দুকধারীর স্ত্রী এপ্রিলে দূতাবাসে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছিল। প্রায় আট মাস পরেও লোকটির ধারণা তার স্ত্রী এখনো দূতাবাসে আছেন।

আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক এমন ‘বিশ্বাসঘাতক হামলার’ নিন্দা করেছে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু টুইটারে বলেছেন ‘আজারবাইজান কখনই একা নয়’ এবং নিহতের স্বজনদের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়েছেন।

বাকু এবং তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে তিক্ত ছিল, কারণ তুর্কি-ভাষী আজারবাইজান তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইরানের ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বী। ইরান লক্ষাধিক জাতিগত আজারবাইজানিদের আবাসস্থল। দীর্ঘদিন ধরে বাকুকে তার ভূখণ্ডে বিচ্ছিন্নতাবাদী অনুভূতি উস্কে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে দেশটি।

বাকুর একটি প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী ইসরায়েলের সঙ্গে আজারবাইজানের সামরিক সহযোগিতা নিয়েও সন্দেহ করছে ইরান। তারা বলছে তেল আবিব সম্ভবত ইরানের বিরুদ্ধে সেতুবন্ধন হিসেবে আজারবাইজানের অঞ্চল ব্যবহার করতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এসএটি)