এই সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার আশা করি না: কিবরিয়া হত্যা প্রসঙ্গে রেজা কিবরিয়া

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:২৭ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বাবা হত্যার কোনো সুষ্ঠু বিচার আশা করেন না বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শহীদ শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ড. রেজা কিবরিয়া।

শুক্রবার বনানী কবরস্থানে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শহীদ শাহ এম এস কিবরিয়ার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত শেষে মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ২ বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ২ বছর বিএনপি সরকার ও ১৪ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকেও এই হত্যার কোনো বিচার হয়নি। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় তারা চেষ্টা করেছেন মিথ্যা তদন্ত, মিথ্যা মামলা দিয়ে আসল খুনিদের আড়াল করতে। তাই আমি মনে করি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ যে শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন সেখানে আইনের শাসন ও সুষ্ঠু বিচারের আশা করা কঠিন। 

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, শহীদ শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মতো একজন গুণী মানুষকে হত্যা করা হলো অথচ উনার হত্যার বিচার করছে না এই আওয়ামী সরকার যিনি এই আওয়ামী লীগকে খাদের কিনারা থেকে টেনে এনে ক্ষমতায় বসতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। বিচার প্রক্রিয়া বারবার পেছানোর কারণে আমাদের মনে একটি সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে শাহ এ এম এস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জড়িত কি না?

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, যুবঅধিকার পরিষদের আহবায়ক মঞ্জুর মুর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শাহ এ এম এস কিবরিয়ার পুত্রবধূ সিমি কিবরিয়া ও চাচাতো ভাই শাহ আজাদ আলী সুমন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সদস্য সচিব জিলু খান, গণঅধিকার পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব শেখ খায়রুল কবির, যুবঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, গাজীপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মোবারক হোসেন সহ আরো অনেক।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। আহত হন আরও ৭০ জন।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/জেবি/ইএস)