বিএনপির কর্মসূচিতে সংঘাতের উসকানি না দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৯ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর দেওয়া কর্মসূচিতে কোনো সংঘাতের উসকানি না দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচিতে কোনো সংঘাতের উসকানি না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এসময় কাদের জানান, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিন কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি এখন অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোলে চলে তারা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পুতুল যেমনে নাচায় বিএনপি সেভাবেই নাচে।

অনলাইনে নিজের মৃত্যুর গুজব প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, সব আজগুবি খবর, সব নষ্ট রাজনীতি, ওরা করে নষ্ট রাজনীতি, ওসব নষ্ট কথা তারাই বলেন। কি ভয়াবহ? এসব রাজনীতিতে এসব কুসংস্কার আছে? যে প্রতিপক্ষকে মেরে ফেলছে। এই রকম ভয়াবহ গুজব ছড়ায়।

বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি করার কারণ জনবিছিন্ন হয়ে গেছে দাবি করে কাদের বলেন, এখন তারা আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্কভাবে মাঠে থাকতে হবে।

বিএনপি এখন পথহারা পথিক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী রাজনীতি কারণে জনপ্রিয়তা তলানিতে। এখন পথহারা পথিকের মতো। কি করবে, কী কর্মসূচি দিবে তারা।  কর্মসূচি নিয়ে ৫৪ দল, ৫৪ পথ, ৫৪ মতো। এদল ছোট হয়ে আসবে বেশি দেরি নয়। ডানে বামে একাকার, এখন অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চলে। বিএনপি যখন আন্দোলন চলে রিমোট কন্ট্রোলে, অদৃশ্য নির্দেশে। বিদেশিরা কখন সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, বিদেশিদের ওপর তাকিয়ে আছে। জনগণ নেই, পাবলিক নেই, নিষেধাজ্ঞা ও অদৃশ্য নির্দেশ তাদের রাজনীতি। আমরা তাদেরকে দুর্বল ভাবি না।

‘আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। এখন থেকে নেতাকর্মী মাঠে আছে নির্বাচন পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে। কোনো দলকে খালি মাঠ দেব না আমরা।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, এই আজগুবি কথা। ফখরুল মাঝেমধ্যে উদ্ভট কথা বলেন। জিয়াউর রহমান পারলে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে। পঁচাত্তর ঘটানোই হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্যে। আর সে নাকি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি করবেন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো কেন? জয় বাংলা নিষিদ্ধ হলো কেন? বাংলাদেশ বেতার, রেডিও বাংলাদেশ হল কেন? স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস হলো কেন? শেখ হাসিনাকে বিদেশে থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বারবার বাধা হয়েছে। আপনাদের কামনায় আওয়ামী লীগের ধ্বংস করা। শেখ হাসিনার জীবন নিরাপদ নয়, এটা বলে নাকি মহা অন্যায় করে ফেলেছি।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম,ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আবদুস সবুর প্রমুখ।

এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/জেএ/ইএস)