আওয়ামী লীগ ক্ষমা করেছে, নেতারা কীভাবে জানবেন? প্রশ্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে বহিস্কৃত নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ক্ষমার চিঠি’ দেওয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। তবে আবেদনকারীদের সবাই এখনো এই চিঠি পাননি। এ নিয়ে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষমার চিঠি গণমাধ্যমে খবর হয়ে এলেও বহিস্কৃত নেতাদের অনেকেই চিঠি না পাওয়ায় প্রশ্ন আসছে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনে।

ঢাকা টাইমস এমন নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপে জানতে পেরেছে, ক্ষমা ঘোষণার পরও চিঠি না পাওয়ায় আবেদনকারী নেতাদের সঙ্গে তাদের অনুগামী কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে ক্ষমার চিঠি দেওয়া হলে এমন হতো না বলেই তাদের ভাষ্য।

বিগত নানা সময়ে দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন এবং সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বেশ সংখ্যক নেতাকে বহিস্কার করে আওয়ামী লীগ।

তাদের মধ্যে শতাধিক নেতা অপরাধের ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাদেরকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সাধারণ ক্ষমা করেছেন বলে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দল থেকে ক্ষমার চিঠি দেওয়া না হলে নেতারা কীভাবে জানবেন আওয়ামী লীগ তাদের ক্ষমা করেছে? এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বহিস্কৃত সেসব নেতা ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনে।

কারণ, দল থেকে লিখিত আকারে চিঠির মাধ্যমে তাদের বহিস্কার করা হয়েছিল। এখন ‘ক্ষমার চিঠি’ না পেলে তারা যে ক্ষমাপ্রাপ্ত তা তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিশ্বাস করানো দায়।

এর মধ্যে অবশ্য বেশ কজন বহিস্কৃত নেতা আওয়ামী লীগের ক্ষমার চিঠি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের বরখাস্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। দলীয় ক্ষমার চিঠি তিনিই প্রথম পান বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।

এরপর গেল সপ্তাহে ক্ষমার চিঠি পান শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, নকলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান লেবু।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যারা ক্ষমার আবেদন করেছেন এবং করবেন এমন সবাইকে ক্ষমা করা হবে। যাদের ক্ষমা করা হয়েছে তাদের চিঠি তৈরি করা হচ্ছে।

বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তাদের সঙ্গে কথা বলে অপরাধের বিষয়ে তদন্ত করে ক্ষমার চিঠি পাঠানো হচ্ছে। যাদেরকে চিঠি পাঠানো হবে সাংগঠনিক সম্পাদককে জানিয়ে তাদের মাধ্যমেই পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘যারা ক্ষমার জন্য আবেদন করেছেন তাদের সবাইকে ক্ষমা করেছেন আওয়ামী লীগে সভাপতি শেখ হাসিনা।’

ময়মনসিংহ বিভাগে যারা ক্ষমার আবেদনকারী কতজনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে নাদেল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগের যারা আবেদন করেছে তাদের সবাইকে ক্ষমা করা হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ছয়জনকে ক্ষমার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও ক্ষমার চিঠি দেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/ডিএম)