চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফের শীর্ষে সিলেট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে(বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুরুতে নেমে ২০ ওভারে ১৭৪ রান তুলে চ্যালেঞ্জার্সরা। জবাবে নেমে ৭ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় মাশরাফির দল।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে পাওয়ার প্লেতেই বিনা উইকেটে আসে ৫৫ রান। ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৩ রান। ১৮ বলে ১৫ রানে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়।
দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ২৮ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন শান্ত। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৬০ রানে নিহাদুজ্জামানের বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৪৪ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ৬টি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো।
পরের উইকেটে খেলতে নেমেই ক্রিজে যেন ঝড় তোলেন সিলেটের জিম্বাবুইয়ান তারকা রায়ান বার্ল। মাত্র ১৬ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৪১ রান তুলে দলকে জয়ের একদম প্রান্তে নিয়ে যান তিনি। পরে মুশফিক ও জাকির মিলে জয় নিশ্চিত করেন। ৪১ রানে মুশফিক ও ১২ রানে জাকির অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দলনেতা শুভাগত হোম। কিন্তু ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি চ্যালেঞ্জার্সদের। ইনিংসের প্রথম বলেই শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন দলীয় ওপেনার উসমান খান। মাশরাফি বিন মর্তুজার করা বলে দুর্দান্ত ক্যাচ তুলে নেন জাকির হাসান।
শুরুর চাপটা সামলে নেন ওপেনার মেহেদী মারুফ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে মাত্র ৬৫ বলে তুলেন ৮৮ রান। এরপর আমিরের করা বলে বুঝে উঠার আগেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন আফিফ। আউট হওয়ার আগে করেন ৩৪ রান। পরে দ্রুত আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ম্যাক্স ও’দাউদ ও কৌর্তেস ক্যাম্ফের।
এদিকে প্রথমে ইরফান শুক্কুর ও পরে মৃত্যুঞ্জয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন দলনেতা শুভাগত হোম। ইরফান ৯ রানে ফিরলে মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন শুভাগত। মাত্র ২৬ বলে ফিফটি পূরণের পর অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। মাত্র ২৯ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি তিনটি করে চার-ছয়ে সাজানো। এদিকে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মৃত্যুঞ্জয়।
(ঢাকাটাইমস /২৮ডিসেম্বর/ এমএম)