ভারত-চীনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই বাংলাদেশকে চলতে হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভৌগোলিক অবস্থানগত গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশের ওপর সকলের ‘নজর’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। চীনের সঙ্গেও আমাদের অনেক বাণিজ্য রয়েছে। চীন ও ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য নিয়ে বাংলাদেশকে চলতে হয়।’

জাতীয় প্রেসক্লাবে রবিবার ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অর্জন-সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট সেমিনারের আয়োজন করে।

মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন সবার সঙ্গে চলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু বলেই তারা আমাদের সুপারিশ দেয়। তাদের সুপারিশকে আমরা স্বাগত জানাই। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, সৌদি, জাপান প্রত্যেকের সঙ্গেই আমরা খুব ভালো সম্পর্ক রেখেছি।’

বাংলাদেশের যে রিসোর্স আছে তা কাজে লাগতে পারলে আরও অর্জন-অগ্রগতি হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সে লক্ষ্যে আমাদের ডিপ্লোম্যাসির তিনটি নীতি— ইকনোমিক ডিপ্লোম্যাসি, পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা গ্রহণ করেছি।’

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী বর্তমান সরকার একের পর এক অর্জন করে যাচ্ছে মন্তব্য করে মোমেন বলেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’

‘বাংলাদেশের সৃষ্টিই হয়েছিল গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। সে কারণে আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে অন্যদের বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। বিশ্ববাসী এটা স্বীকারও করেছে। যদিও কেউ কেউ এটা নিয়ে বড় বড় কথা বলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থা আছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড দেখে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালে দেশে দুর্নীতি ও  সন্ত্রাস খুব বেড়ে গিয়েছিল। সেসময়ে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করা হয়েছিল। বর্তমান সরকার ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চায়।’

সেমিনারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/ডিএম)