লালমনিরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় আসামি গ্রেপ্তারের দাবি

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৪

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লালমনিরহাটে পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলীকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিলম্বে গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রবিবার দুপুরে লালমনিরহাটের মিশন মোড় চত্বরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।  

লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মজিবর রহমান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন।

এসময় অন্যাদের মধ্যে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, আদিতমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত চিহ্নিত আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচার করতে হবে। এই হত্যার বিচার নিয়ে কোনো টালবাহানা করা হলে মুক্তিযোদ্ধারা ঘরে বসে থাকবে না। অস্ত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি উল্লেখ করে তারা কঠিন ও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।’

পরে মিশন মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহর অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মমিন এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, আমরা প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আলমগীর হোসেন আব্দুল্লাহকে তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘটনে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এলএ)