পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এলজিইডির সার্ভেয়ারকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ
প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৪

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এক সার্ভেয়ারকে মোটরসাইকেল থেকে টেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। এতে ওই সার্ভেয়ারের বা হাতের কুনুইয়ের হাড় ফেটে গেছে। সড়কে পড়ে গিয়ে নিজের পরিচয় দেওয়ায় সার্ভেয়ারকে অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ ও কিলঘুসি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
রবিবার সন্ধ্যায় চিলমারী মডেল থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সার্ভেয়ারের নাম তাজুল ইসলাম। তিনি উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোমতাজ আলীর ছেলে এবং চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম মো. মুনিরুজ্জামান। তিনি চিলমারী মডেল থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
ভুক্তভোগী সার্ভেয়ার তাজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় অফিস শেষে সহকর্মী মহিরসহ মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এসময় থানার সামনে এক পুলিশ সদস্য হাত তুলে তাকে থামতে বলেন। তখন তার গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ৩৫/৪০ কিলোমিটার বেগে। গাড়ি থামানোর আগেই ওই পুলিশ সদস্য পেছন থেকে সহকর্মী মহিরের গায়ের জ্যাকেট ধরে টান দেন। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা দুজনেই মোটরসাইকেলসহ সড়কে পড়ে যায়। এসময় তার বাম হাত মোটরসাইকেলের নিচে চাপা পড়ায় প্রচণ্ড আঘাত পান। এ অবস্থায় তিনি পরিচয় দিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে তোলার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি গালিগালাজ শুরু করেন এবং কিলঘুসি মারতে থাকেন। পরে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু ভাইসহ কয়েকজন দুজনকে উদ্ধার করেন এবং নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।
উদ্ধারকারী চিলমারী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু বলেন, এটা খুবই খারাপ ঘটনা। এভাবে একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে ফেলে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। ওই পুলিশ সদস্য বেয়াদবি করেছেন। একজন মানুষকে এভাবে টেনে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেওয়া মোটেই ঠিক হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কনস্টেবল মুনিরুজ্জামান। বলেন, এসব মিথ্যা কথা। টেনে ফেলে দেওয়া বা ওই সার্ভেয়ারকে গালিগালাজ কিংবা কিলঘুসি মারার ঘটনা ঘটেনি। বরং তিনি আমাকে মোটরসাইকেল লাগিয়ে দিচ্ছিলেন। আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সঠিক নয়।
চিলমারী মডেল থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, এলজিইডির স্টাফ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সড়কটি ভাঙাচুড়া থাকায় ব্রেক করতে গিয়ে ওই স্টাফ পড়ে গেছেন বলে জেনেছি। টেনে ফেলে দেওয়া বা কিলঘুসি মারার বিষয়টি জানা নেই।
(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/এলএ)