রোজায় বিলাসবহুল বিদেশি ফল আমদানি বন্ধের সুপারিশ ভোক্তার

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আসন্ন রমজান মাসে ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশি ফলের আমদানি বন্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজারে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে পাইকারি ও খুচরা ফল ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিউজ্জামান এ কথা জানান। 

ভোক্তার ডিজি বলেন, দেড় মাস আগে রমজানে অতি বিলাসবহুল ফল আমদানি বন্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এ বৈঠকের পরে আবারও সেটা জানানো হবে। আমরা বলছি, অতি বিলাসবহুল ফল আমদানি আপাতত বন্ধ রাখা যেতে পারে। ভবিষ্যতে দেশে এসব বিদেশি ফল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করতে পারে কি না সেটা দেখতেও আমরা সুপারিশ করেছি।

তবে রমজানে প্রয়োজনীয় পাঁচটি ফল খেজুর, কমলা, মাল্টা, আপেল ও আঙুর আমদানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে বিদেশি ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিদ্যমান শুল্ক কাঠামো পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি জানান, সুপারশপ এবং অভিজাত এলাকার ফলের দোকানে অতি উচ্চ দামে বিদেশি ফল বিক্রি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে দেশি ফলের বাজারে। 

ফল ব্যবসায়ীদের কথা তুলে ধরে সফিউজ্জামান বলেন, তারা বলছেন বিদেশি ফল সময়মতো বন্দরে খালাস করা যায় না। ফলে অর্থিক ক্ষতিতে পড়েন। সেজন্য আমরা বিদেশি ফল আমদানিতে বন্দরে আটকে থাকার বিষয়টি দেখবো। দ্রুত ফল খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ নিয়ে যোগাযোগ করা হবে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশি ফলে এসব সমস্যা নেই। তারপরও বাজারে ফলের দাম অস্বাভাবিক। কলার হালি ৫০ টাকায় উঠেছে। একটি কলার দাম সাড়ে ১২ টাকা, এটা অস্বাভাবিক! বিদেশি ফলের দামের কারণে এসব বেড়েছে। এটার সমন্বয় দরকার।

ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ এ দেশের প্রেক্ষাপটে একটি চ্যালেঞ্জের জায়গা। আবার বৈশ্বিক অস্থিরতা পরিস্থিতির মধ্যে সেটা এবার আরও বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সেটা করতে হবে। সবাইকে সহনশীল হতে হবে। ব্যবসায়ীদের কম লাভ করতে হবে। ভোক্তাকেও সহনশীল হতে হবে এখন। মনে রাখবেন রমজান খরচের মাস নয়, সংযমের মাস।

(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/কেআর/এসএম)