ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:২৮ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১৩

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চেক জালিয়াতির মাধ্যমে পৌরসভার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 
গত ২২ জানুয়ারি দুদক ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

সোমবার রাতে কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদ কামাল গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান চান, সাময়িক বরখাস্তকৃত সচিব আজমল হোসেন ও সাময়িক বরখাস্তকৃত হিসাবরক্ষক মো. মোকলেচুর রহমান।

মামলায় বলা হয়, ঝিনাইদহ পৌরসভার বিভিন্ন কাজে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন বিল-ভাউচারের বিপরীতে চেকে অতিরিক্ত অঙ্ক বসিয়ে ও অঙ্ক কথায় লিখে আসল চেকের টাকাসহ অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে ঝিনাইদহ পৌরসভার নামে পরিচালিত সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ঝিনাইদহ শাখার হিসাব নং-৩১৬ থেকে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৯ টাকার বিপরীতে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৯ টাকা উত্তোলন করে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ মামলা করা হয়েছে।

দুর্নীতির অভিযোগে পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মোকলেচুর রহমানকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঝিনাইদহ পৌরসভার ফান্ড তসরুফ ও চেক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজমল ও মোকলেচুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর শাখা-১–এর উপসচিব আবদুর রহমান এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

এ বিষয়ে জানতে সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর মুঠোফোনে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাদের নামে মামলা হওয়ার কথা নয়। কারণ, মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করে দুজনকে দায়ী করে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এফএ)