মাছ খেলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকি! আরও কত স্বাস্থ্যগুণ আছে জানুন

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৪

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ আর ভাত আমাদের প্রিয় খাবার। গোশত থাকুক না থাকুক, প্রতিদিন দুপুরের খাবারে পাতে এক টুকরো মাছ না থাকলে যেন চলেই না। পুকুর, নদী, খাল, বিলের নানা কিসিমের নানা স্বাদের মাছ পাওয়া যায় হাটে-বাজারে। পাওয়া যায় সমুদ্রের নানা পদের মাছও।

এই মাছ শুধু তরকারি বা খাবারের স্বাদই বাড়ায় না। এর রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগুণ। যেমন- হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কে পুষ্টি জোগাতে মাছের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এমনটাই বলছে গবেষণা। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর গঠন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।

গবেষণায় বলছে, যারা সপ্তাহে তিন দিন বা বেশি মাছ খান, তাদের মস্তিষ্কের নিউরন কোষ অনেক বেশি সুগঠিত ও বেশি কর্মক্ষম হয়। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ যেমন- ভেটকি, বোয়াল, চিতল, বড় রুই ও কাতলায় থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, আয়োডিন, ভিটামিন ডি, ফসফরাস-সহ নানা খনিজ মস্তিষ্ক সচল রাখার পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্ক ছাড়াও হৃদ্‌পিণ্ড সুস্থ রাখতে এবং রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও অত্যন্ত উপযোগী মাছ। হার্টের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। নিরামিষাশী না হলে সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ৭০-৭৫ গ্রাম করে মাছ খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

ছোট বয়সে স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা বাড়াতে এবং বেশি বয়সে ডিমেনশিয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিনই পাতে থাকা দরকার এক টুকরো মাছ। কারণ, নিয়মিত মাছ খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও কমে ১৫ শতাংশ। আমেরিকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষের উপর একটি গবেষণা করে এই তথ্য জানান গবেষকরা।

(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এজে)