ভোট দিয়ে হিরো আলম বললেন, সুষ্ঠু ভোট হলে আমিই জিতব

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৬ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৪

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ভোট দিয়েছেন।  

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি প্রাইভেটকার-যোগে বগুড়া সদরের এরুলিয়া কেন্দ্রে আসেন। এরপর মিডিয়াকর্মী এবং ইউটিউবারদের ভিড় সামলে পৌনে ১০টায় তিনি ভোট দেন।

ভোট দেওয়া শেষে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ আমার ইউনিয়নে ভালো আছে। বগুড়া-৪ আসনের খবরও এখন পর্যন্ত ভালো পেয়েছি। আমি আগে থেকেই আশঙ্কা করছিলাম সদরে ভোটের দিন গ্যাঞ্জাম হতে পারে।
সে হিসেবে আমাদের লাহিড়ীপাড়া কেন্দ্রে আমার এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমি অনেকবার ফোন দেয়ার পর নির্বাচন কর্মকর্তা ফোন ধরেছে। তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বিষয়টি দেখবে বলে জানিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি সুষ্ঠু ভোট হবে এবার। আপনারা সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দেবেন। নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত অবশ্যই থাকার নিয়ত আছে। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হবো আজ।

‘অনেকেই বলেন মাঝপথে আপনি পালিয়ে যাবেন নির্বাচন থেকে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঝপথে এক প্রার্থী কখন পালিয়ে যায়, না আমরা শোনেন, যখন দেখতেছেন আমার এজেন্টকে বের করে দেয়া হইতেছে। জোর করে ভোটে সিল দিতেছে। তখন তো ভোটে থাকার থেকে না থাকাই ভালো। তখনতো মাঝপথে চলে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এরকম ঘটনা ঘটেনি। ওই রকম ঘটনা ঘটলে তখন চিন্তা করবো।’

দুই আসন থেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কি না এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, দুই আসন থেকে এখন এই মুহূর্তে বলতে পারতেছি না। কারণ বগুড়া সদরে ইতোমধ্যে গ্যাঞ্জাম শুরু হয়েছে। বগুড়া সদর থেকে পাশ করবো কি না জানি না। তবে কাহালু-নন্দীগ্রামে পরিবেশ এখনো ভালো আছে। ওখান থেকে আমি খুব ফোন পাচ্ছি। তারা ভোট দিতেছে। খুবই ভালো পরিবেশ আছে।

বগুড়ায় উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এই দুই আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম। নির্বাচন উপলক্ষে দুই আসনে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‍্যাব ১৭ টহল দল মোতায়েন আছে। এ ছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন।

(ঢাকাটাইমস/১ফেব্রুয়ারি/এআর)