মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার বেদনা নাকি অন্য কিছু? হঠাৎ কেন সত্যবাদী রহমতউল্লাহ!
পাঁচবারের সংসদ সদস্য। বিশিষ্ট শিল্পপতি, গুলশান-বাড্ডায় অগাধ সম্পত্তির মালিক। আছে আরও অনেক কিছুই। তবুও কী যেন নেই এমপি রহমতউল্লাহর!
কোনো কিছু না পাওয়ার ক্ষোভ থেকেই কি হঠাৎ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ এমপির এমন মন্তব্য? সিটি করপোরেশনের টেবিল-বাতাস সব চোর!
সত্যিই কি ঘুষ খায় সিটি করপোরেশন? আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হঠাৎ এমন কথা কেনো বললেন। নিশ্চিই এর পেছনে কিছু না কিছু কারণ আছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
গত ২৯ জানুয়ারি রবিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ঢাকার মেয়র হতে বলেছিলেন। কিন্তু সেখানকার টেবিল-বাতাস সব চোর হওয়ায় তিনি রাজি হননি। তার এই বক্তব্য তোলপাড় হয় দেশজুড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, হানিফ সাহেব (অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) মারা যাওয়ার পরে মেয়র অফার (প্রস্তাব) করেছিলেন। আমি আপারে বললাম, ওখানে যাব না। এখানে টেবিলে চুরি করে, বাতাসে চুরি করে এবং এখানের মধ্যে সব চোর। আমি যাব না।’
এছাড়াও গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজেকে আহলে হাদিসের অনুসারী দুই কোটি ভোটের প্রধান উপদেষ্টা দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘আমি আহলে হাদিসের ‘চিফ অ্যাডভাইজার’। সারা দেশে এর প্রায় আড়াই কোটি ভোটার আছেন। আমার চামড়ার সাপ্লাইয়ার ও তাদের পরিবার মিলিয়ে আছেন প্রায় এক কোটির মতো। জাতীয় সংসদে আহলে হাদিসের অনুসারী প্রায় ৩০ জন সংসদ সদস্য আছেন। তবে অনেকে পরিচয় দেন না।
বর্তমানে রহমতুল্লাহ ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য। হঠাৎ করে কী হলো এই সংসদ সদস্যের। জাতীয় সংসদে সিটি করপোরেশন নিয়ে মন্তব্যে পুরো দেশ তোলপাড় করলেন তিনি। শুধুই কি সত্যবাদী নাকি মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার বেদনা। নাকি এর পেছনে অন্য কিছু আছে এই প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য রহমতুল্লাহ। বয়স ও সিনিয়র সংসদ সদস্যদের মধ্যে তিনি একজন। কিন্তু হঠাৎ করে তার মন্তব্যে মনে হচ্ছে কোনো কিছুর না পাওয়ায় তার মনে ক্ষোভ। কিন্তু বেদনা থাকলেও তিনি হঠাৎ করে এমন মন্তব্য করতে পারেন কি? কারণ ক্ষমতাসীন দলের তিনি একজন সংসদ সদস্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমি সংসদে কী বলছি এটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। এরপরে একাধিক বার প্রশ্ন করলেও কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
(ঢাকা টাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/জেএ/ইএস)