রাষ্ট্রপতি ছাড়া বাকৃবির সমাবর্তন, দায়সারা আয়োজনের অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫১

ময়মনসিংহ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

চ্যান্সলরের (রাষ্ট্রপতি) উপস্থিতি ছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তন আয়োজন দায়সারা বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন করার দাবি জানান।  
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন তারা।  

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ দেবেশ সরকার বলেন, ১৯৭৩ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি ছাড়া সমাবর্তন আয়োজন করে সেই মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। আমরা এই সমাবর্তন চাই না।  

প্রফেসর ড. জাকির হোসেন বলেন, সমাবর্তনের প্রাণ চ্যান্সেলর। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। এতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।  
প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান আরও বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে না। প্রয়োজনে সমাবর্তনের সময় পিছিয়ে হলেও রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে সমাবর্তন চাই।

এ সময় শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিগত ৬১ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৮টি সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ছাড়া আমরা ৮ম সমাবর্তন চাই না। কারণ ময়মনসিংহ রাষ্ট্রপতির এলাকা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজের বলে আমরা মনে করি। ইতোমধ্যে তিনি যেহেতু দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন, সেহেতু সময় নিয়ে হলেও রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে আমরা সমাবর্তন চাই।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এম.এইচ সরকার রিফাতের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা জুয়েনা, শিক্ষার্থী রুহুল কবীর রিয়াদ, ফজলে রাব্বি, তারিক জামান জয়, আব্দুল্লাহ আল বাকি প্রমুখ। এতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম বলেন, মানববন্ধন করলেও কিছুই করার নেই। নির্ধারিত তারিখেই সমাবর্তন হবে এবং তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুশাসনেই হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/০২ফেব্রুয়ারি/এলএ)