শিয়া-সুন্নী নিয়ে বসচা শুরুর আগেই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ৫

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জে শিয়া ও সুন্নী নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বসচা চলার কথা ছিল। বসচা শুরুর আগেই একপক্ষ আরেক পক্ষকে শিয়া বলায় দু’পক্ষ রাস্তায় হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় লিপ্ত হন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন। পুলিশ তাৎক্ষণিক উভয়পক্ষকে শান্ত করলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, আমরা উভয়পক্ষকে কার্যালয় থেকে বের করে দিয়েছি। বাইরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তারা দুপক্ষই চলে গেছে। বসচা শুরুর আগেই তারা একপক্ষ আরেক পক্ষকে শিয়া বলায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে তারা হামলা-পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আমিরে মুয়াবিয়াকে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবি মানা না মানা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শুক্রবার বিকালে বসচা হওয়ার কথা ছিল।

এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন হবিগঞ্জ দারুসুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক মিয়া, সিরাজনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ শিব্বির আহমদ ও আলোচিত ইসলামী বক্তা মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী। তাদের দাবি, আমিরে মুয়াবিয়া মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবি ছিলেন।

অপরপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আওয়াল ও সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কনু মিয়া। তারা এ দাবির বিরুদ্ধে ছিলেন।

বসচায় উভয়পক্ষের চারজন করে মোট আটজন অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু উভয়পক্ষই বিপুলসংখ্যক লোক সমাগম করেন। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের বসচায় বসার অনুমতি দেয়নি। তাদেরকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দেয়া হচ্ছিল। এ সময় উভয়পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তখন তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।

(ঢাকাটাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/এলএ)