স্বামীকে মারধর করে স্ত্রী-সন্তানকে তুলে নিয়ে গেলেন সাবেক প্রেমিক!

প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫৭

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের সালথায় বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রী ইমা বেগম (১৮) ও তার সাত মাস বয়সী শিশু কন্যা রাইসা মনিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম তারিকুল মোল্যা। তিনি আলমপুর গ্রামের মো. কাঞ্চু মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় ইমা বেগমের স্বামী হাবিব শেখ বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাঙ্গার হীরালদি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হাবিব শেখ তার স্ত্রী ইমা বেগম ও সন্তান রাইসা মনিকে নিয়ে সালথার আলমপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন। পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অটোভ্যানযোগে নিজ বাড়ি ফেরার পথে আলমপুর গ্রামের শেষ সীমান্তে পৌছালে অভিযুক্ত তারিকুল মোল্যাসহ ৮-১০ জন লোক এসে তাদের অটোভ্যানের গতিরোধ করে। এ সময় অভিযুক্তরা হাবিব শেখকে মারধর করে তার স্ত্রী-সন্তানকে অন্য আরেকটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায়।

ইমা বেগমের বাবা মো. লিটন খা বলেন, দেড়বছর আগে আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ে হয়। সাত মাস বয়সী তার একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। শুক্রবার সকালে আমার বাড়ি থেকে তার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে তারিকুল আমার মেয়ে ও নাতনিকে তুলে নিয়ে গেছে। নগদ টাকাসহ স্বর্ণের জিনিসও নিয়ে গেছে। আমার মেয়ের জামাইকেও ওরা মারধর করে। এখন পর্যন্ত আমার মেয়ে ও নাতনির কোনো খোঁজ-খবর পাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ের আগে তার সঙ্গে তারিকুলের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তবে ইমার সঙ্গে বিয়ে আগে থেকেই তারিকুলের প্রেম সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

এ বিষয় অভিযুক্ত তারিকুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তারিকুলের ভাবি ও তার পরিবার উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ইমা বেগম ও তার মেয়েকে তারিকুল তুলে নিয়ে যায়নি। তারিকুল একটা অবিবাহিত ছেলে। সে কেন এক সন্তানের জননীকে তুলে নিয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই তারিকুলের সঙ্গে ইমা বেগমের প্রেম সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরধরে তারা দুই জনই পালিয়ে গেছে।     

সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) মো. আওলাদ হোসেন বলেন, এই সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। আসল ঘটনা উৎঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৪ফেব্রুয়ারি/এআর)