বন বিভাগের টহল ফাঁড়িতে তিন বাঘ

প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৩৬

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সুন্দরবনে গহীণে বন বিভাগের একটি টহল ফাঁড়িতে এক সাথে তিনটি রয়েল বেঙ্গলের টাইগারের দেখা মিলেছে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়িতে শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০ ঘণ্টা বিচরণ করে ওই বাঘ তিনটি। শনিবার বেলা ১১টার পরে আর ওই বাঘ তিনটিকে দেখা যায়নি।

এই টহল ফাঁড়িতে সাতজন কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্বে রয়েছেন।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষরক (এসিএফ) মোহাম্মদ শামসুল আরেফীন সন্ধ্যায় ঢাকাটাইমসকে জানান, সুন্দরবনের গহীণে সুপতি স্টেশনের কাছে চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ির অবস্থান। এই ফাঁড়িটি পাশে বন্যপ্রাণির অভয়ারণ্য। শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে হঠাৎ করে দুটি বাঘ এক সাথে টহল ফাঁড়ির ভেতরের পুকুর পাড়ে চলে আসে। সেখানে এসে তারা ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এসময়ে ওই টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক শেখ তা লক্ষ্য করে অন্যদের ডেকে দেখায়। বাঘ দুটি পুকুরপাড়ে নিজেরা তাদের মত করে চলাফেরা করছিল। বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সবাই মিলে দূর থেকে তা দেখছিলেন। তারা এসময়ে বাঘের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই দুটি বাঘের সাথে আরও একটি নতুন বাঘ যোগ দেয়। সব মিলিয়ে টহল ফাঁড়িতে তিনটি বাঘকে দেখা যায়। এখন বাঘের প্রজনন মৌসুম। তাই তারা এক সাথে চলাচল করছে। এই টহল ফাঁড়ির আশপাশে অসংখ্য বাঘের পায়ের ছাপের দেখা মিললেও স্বশরীরে বাঘের দেখা খুব একটা পাওয়া যায় না। অনেক বছর পর টহল ফাঁড়ির ভেতরে বাঘের দেখা মিলল। শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এই বাঘ তিনটি আর টহল ফাঁড়ির বাইরে বের হয়নি। বেলা ১১টার পরে বাঘ তিনটি নিজেরাই বনের গহীনে ফিরে গেছে।

বাঘ দেখে বনকর্মীরা বাঘের ভয়ে ফাঁড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ ছিলেন বা ভয় পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনা-সামনি বাঘ দেখলে ভয়তো কিছুটা লাগবেই। তবে তারা কেউ অবরুদ্ধ ছিলেন না। বনকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ওই টহল ফাঁড়িতে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। বাঘগুলো যদি কোন হিংস্র আচরণ করত, তাহলে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের বনের ভেতরে পাঠানোর চেষ্টা করত। বাঘগুলো শান্ত ও স্বাভাবিক আচরণ করায় বনকর্মীরা তাদের দৈনন্দিন বিচরণ ও জীবনাচারণ উপভোগ করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/এলএ)