বাংলাদেশি কর্মী নিতে অভিবাসন ব্যয় কমানোর আভাস দিলেন সফররত মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৮ | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অভিবাসন ব্যয় কমানোর আভাস দিয়েছেন ঢাকা সফররত মালয়েশিয়ার নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল। বলেন, ‘এ বিষয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসে পর্যালোচনা করবেন। সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি না তারা তাও দেখবেন।’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান সঙ্গে বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। রবিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল‌্যাণ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে মালয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আলোচনার বড় অংশই ছিল দুদেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি নিয়ে। মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়।’

‘আমাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, কর্মীর চাহিদা পূরণ করা। ব্যয় কমানো, বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা। বর্তমান সমঝোতা প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না গেলে মালয়েশিয়া তাতে পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সেজন্য আমরা আলোচনায় বসবো’—যোগ করেন সাইফুদ্দিন।

মালয়েশিয়ায় কর্মরত ১৫ লাখ বিদেশি শ্রমিকের সাড়ে চার লাখই বাংলাদেশি কর্মী উল্লেখ করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৫টি সোর্স কান্ট্রির প্রথম অবস্থানটিই বাংলাদেশের। বাংলাদেশি এই কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।’

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুটি বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি হচ্ছে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরো দ্রুত করা। অন্যটি হচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী আছেন। একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে এনে তাদেরকে বৈধ করাই হচ্ছে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়া এই প্রোগ্রাম শুরু করেছে।

এ বিষয়ে মালয় মন্ত্রী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে বৈধকরণের যত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাদের ৫৫ শতাংশই বাংলাদেশি। আমি এ বিষয়ে বাংলাদেশ যেন নিজ অংশের দা‌য়িত্ব পালন করে সেজন্য মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেছি।’

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার দেশ যেন কর্মীর চাহিদা পূরণ করতে পারে সেজন্য নতুন কর্মী অনুমোদন দেওয়ার সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে যেখানে ২০ থেকে ৩০ দিন যেত এখন সেখানে ২ থেকে ৩ দিনে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/ডিএম)