অবসরপ্রাপ্ত আনসারদের সুযোগ

বাংলাদেশ থেকে ‘সিকিউরিটি গার্ড’ নিতে আগ্রহী মালয়েশিয়া

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তায় বাংলাদেশ থেকে ‘সিকিউরিটি গার্ড’ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল।

রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশের মন্ত্রীর বৈঠকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তায় বাংলাদেশ থেকে পেশাদার ও প্রশিক্ষিত আনসারসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়োগের বিষয় তুলে ধরা হয়। এসময় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ‘সিকিউরিটি গার্ড’ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন, শ্রমিক সম্পর্কিত বিষয় এবং দুই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, জ্ঞান ও তথ্য বিনিময় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া দুই মন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে মালয়েশিয়া প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে বংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়- তা উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে বাংলাদেশের পক্ষ হতে মিয়ানমারে থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। জবাবে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দেশেও রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে এবং আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে তাদের দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়া জোরালো ভূমিকা পালন করবে।’

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে মালয়েশিয়ায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার অনুরোধ করা হলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হন। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইসমাইল বলেন, ‘প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ দুই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক জ্ঞান ও তথ্য বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। এতে আমরা একমত।’

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার ও পুলিশের বিশেষ শাখা- এসবির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।

(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/এসএস/ইএস)