ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৫৯ | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগে ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যাকিথেরাপি ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল কনফরমাল থেরাপি (থ্রিডিসিআরটি)’ মেশিনের উদ্বোধন করা হয়েছে। 

রবিবার সকাল ১০টার দিকে বিএসএমএমএমইউর ক্যান্সার ভবনে ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল কনফরমাল থেরাপি (থ্রিডিসিআরটি)’ মেশিনের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

বিএসএমএমএমইউর ক্যান্সার ভবনে ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল কনফরমাল থেরাপি (থ্রিডিসিআরটি)’ মেশিনের  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ১৫ লাখ ক্যান্সারের রোগী রয়েছে। প্রতি বছর আরও দুই লাখ ক্যান্সার রোগী বাড়ছে। 

প্রতি বছর দেড় লাখ ক্যান্সারের রোগী মারা যায়। এসব রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে দেশের অনেক অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। বিএসএমএমইউয়ে বেশি সংখ্যক ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। ক্যান্সার চিকিৎসায় বিএসএমএমইউয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমএমইউয়ে রোগীর কোথায় ক্যান্সার অবস্থিত তা নির্ণয় করে টার্গেট থেরাপি দেয়া হবে এই ব্যাকিথোরপি (থ্রিডিসিআরটি) মেশিন  দিয়ে। এখানে লিনিয়্যাক মেশিনের মাধ্যমেও ক্যান্সার চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বিএসএমএমইউয়ে রেডিও থেরাপি ও কেমো থেরাপির মাধ্যমেও চিকিৎসাসেবা চলছে। 

বিএসএমএমইউর উপাচার্য  বলেন, ইদানিং বাংলাদেশে তরুণীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশী ধরা পড়ছে। ৩০ থেকে ৫০ বছর নারীরা বেশী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের স্ক্রেনিং করার জন্য একটি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। রক্তের ক্যান্সার রোগীদের সেবার জন্য বিএসএমএমইউর হেমাটোলজি বিভাগও কাজ করছে। এছাড়া ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর রয়েছে। তিনি আটটি বিভাগে আটটি ক্যান্সার হাসপাতাল করছেন। ক্যান্সার  প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি। সচেতন হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে তা নিরাময় যোগ্য। 

এর আগে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ‘ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিএসএমএমইউর বি-ব্লক থেকে শুরু হয়ে  বট তলা, এ-ব্লক, টিএসসি, ডি-ব্লক, সি-ব্লক প্রদক্ষিণ করে জামে মসজিদ হয়ে ক্যান্সার ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) একেএম মোশাররফ হোসেন, সার্জারি অনুষদের ডিন মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন দেবব্রত বনিক, প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার স্বপন কুমার তপাদার, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের ডিভিশন প্রধান সারওয়ার আলম, অধ্যাপক ডা. আব্দুল বারী, অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান ভূইয়া, হাসপাতাল শাখার পরিচালক ব্রি. জে. ডা. রেজাউর রহমান, ভিসির একান্ত সচিব-১ সহযোগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলজি) ডা. মো. রাসেল, ক্লিনিক্যাল অনকোলজির সহযোগী অধ্যাপক সাদিয়া শারমিন, সহযোগী অধ্যাপক মো. মামুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/এএ/এসএম)