নিপাহ ভাইরাসে সাত মৃত্যু, ঝুঁকিতে দেশের সব জেলা: আইইডিসিআর

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চলতি বছরের এ পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনেরই মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সব জেলা এখন নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

রবিবার আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, আমরা নিপাহ ভাইরাসের সার্ভিলেন্সে জোর দিয়েছি। যখন যেখানেই নতুন কেস হচ্ছে, আমরা খবরটা পেয়ে যাচ্ছি। ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত ১০ জন শনাক্ত হয়েছে, এর মধ্যে ৭ জনই মারা গেছেন।

ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কেউ যদি বেঁচেও যান তার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। আমরা যদি শুধু খেজুরের রস খাওয়াটা বন্ধ করে দিতে পারি তাহলেই ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে পারি।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলেন, আমরা সাবধানতা অবলম্বন করে রস সংগ্রহ করছি। এটা আসলে ভুল। আপনি যতই জাল দিয়ে ঢেকে রাখেন, এতে আক্রান্তের সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ শুধু রসে বাদুড় মুখ দিলেই নিপাহ ভাইরাস হয় না, বাদুড়ের ইউরিন থেকেও নিপাহ ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে।

গত ১১ জানুয়ারি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে প্রথম এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আইইডিসিআর। ভাইরাসে মৃত নারীর বাড়ি রাজশাহী এলাকায়। খেজুরের রস খেয়ে তিনি বাদুড়বাহিত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

নিপাহ ভাইরাসকে ‘ডেডলি ডিজিজ‘ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারন এই ভাইরাসবাহিত রোগের কোনো ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। যার কারনে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা ৭০ থেকে ১০০ ভাগ। আর যারা বেঁচে থাকেন তাদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশের স্নায়বিক দুর্বলতায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের হার কম হলেও এটা অত্যন্ত বিপদজনক।

(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/আরকেএইচ/ ইএস)