৯৯৯ ফোন, যৌনপল্লী থেকে তরুণী উদ্ধার

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:০২

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ পাওয়া কলে খবর পেয়ে ফরিদপুরে যৌনপল্লী থেকে এক তরুণীকে (১৮)  উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রিপল নাইনে কল-এর মাধ্যমে আমরা উদ্ধার করি।

এর আগে শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ফরিদপুর শহরের রথখোলা পতিতাপল্লী থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, মাসখানেক পূর্বে প্রেমিকের ডাকে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রেমিক কর্তৃক প্রতারণার শিকার হন তিনি। তাকে ফেলে পালিয়ে যায় প্রেমিক। এরপর এক রিকশাচালককে রাতে থাকার জন্য কম টাকার মধ্যে একটি হোটেলে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু রিকশাচালক তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। এরপর মাসখানেক ধরে সেখানে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হন তিনি। অস্বীকৃতি জানালে মারধর করা হতো তাকে।

এমন অভিযোগ জানিয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে এক তরুণী ফোন করেন শনিবার (৪ জানুয়ারি)। তিনি জানান, তিনি ফরিদপুর রথখোলা এলাকায় একটি পতিতালয়ে আটক আছেন, তিনি একজন সহৃদয় খদ্দেরের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছেন। তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।

৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মামুনুর রশিদ কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল মামুন তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানান। ৯৯৯ ডিস্পাচার এসআই দীপন কুমার মণ্ডল সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায় । পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এসআই খায়রুল জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে শহরের রথখোলা পতিতাপল্লী থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল  বলেন, এ ব্যাপারে ওই তরুণী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পরে ওই তরুণীকে তার মা ও বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/এলএ)