তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ শতাধিক

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:১০ | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:২৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষের এবং আরও অন্তত ৫ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে অন্যতম মারাত্মক ভূমিকম্পের ঘটনা এটি। খবর রয়টার্সের।

বিবিসির খবরে বলা হয়, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভূমিকম্পে উভয় দেশে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। এতে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সম্মিলিতভাবে এ দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা একসাথে এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠব।’

৯১২ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে বলে এরদোগান জানিয়েছেন।

এরদোগান টুইট করে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য ইউনিট সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’

সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপে এই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।

বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ আটকা পড়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের সন্ধান করছেন লোকজন। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা এবং সারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরতায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহর ও বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

দিয়ারবাকিরে বিবিসির তুর্কি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, শহরের একটি শপিংমল ধসে পড়েছে। গাজা উপত্যকায় বিবিসির একজন প্রযোজক রুশদি আবুলউফ বলেছেন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড কাঁপুনি ছিল।

তুর্কি ভূমিকম্পবিদরা ভূমিকম্পের শক্তি অনুমান করেছেন ৭ দশমিক ৪ মাত্রার। তারা বলেছেন, এই অঞ্চলে মাত্র কয়েক মিনিট পর দ্বিতীয় কম্পন আঘাত হেনেছে।

তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প অঞ্চলে অবস্থিত। ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর-পশ্চিমে একটি শক্তিশালী কম্পনের পর ১৭ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এসএটি)