আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা: বিএনপি

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৩ | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিএনপির কর্মসূচির দিনে ‘শান্তি সমাবেশের’ নামে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচিকে সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা বলে অভিযোগ করেছে দলটি। আওয়ামী লীগ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মহড়া দিয়ে দেশকে অশান্তি এবং অরাজক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে চায় বলেও অভিযোগ বিএনপির।

সোমবার ঢাকার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবারও একই পথ অবলম্বন করেছে। আগেও তারা বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম হামলা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো হামলার শিকার বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এমনকি ঘটনাস্থলে ছিলেন না, এমন অনেক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকারীরা হামলা চালায়। ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার সময় মাসকান্দা বাসষ্ট্যান্ডে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। এতে আমাদের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আহত হয়।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হামলা অব্যাহত রাখার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘অবিলম্বে এসব বন্ধ করে গ্রেপ্তার হওয়া নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’

‘জনবিচ্ছিন্ন সরকার গণআন্দোলনে ভীত হয়ে এই নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। তবে এসব করে জনগণ এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো যাবে না। যারা সমাবেশ, পদযাত্রার মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ভয় পায় তারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলনে ভীত।’

সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন, ‘তাদের মাথার ওপর থেকেও ছায়া সরে যাচ্ছে। এজন্য তারা দমন-নিপীড়ন করে আন্দোলন দমনের পথ বেছে নিয়েছে।’

‘আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই, গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন নস্যাৎ করার দিন শেষ। জনগণ আজ জেগে উঠেছে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। তারা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।’

প্রিন্স আরও বলেন, ‘দুর্নীতি, লুটপাট করে জনগণের অর্থ পাচার করে দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অন্যদিকে সর্বগ্রাসী সংকটে জনগণ দিশেহারা। দূর্নীতি, লুটপাটের কারনে বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে।’

‘সরকার ও তার অনুগতদের দুর্নীতির মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। জনগণের চরম দুর্দিনে তাদের পকেট কেটে নিজেদের দূর্নীতির ফলে সৃষ্ট ঘাটতি পূরণ করছে সরকার। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষের আয় সংকুচিত হয়ে গেছে।’

গণদাবী মেনে পদত্যাগ করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথ সুগম করার আহ্বান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্ত্বশীল সরকার, সংসদ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই। অন্যথায় গ্রাম, শহরের জনপদে অধিকার হারা, নিরন্ন মানুষের যে পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে তাতে গণঅভ্যূত্থান অবশ্যম্ভাবী।’

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/জেবি/ডিএম)