স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের বিকল্প নেই: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:১১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বর্তমান সরকারের লক্ষ্য জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা ও একই সঙ্গে নিরাপদ খাবার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের বিকল্প নেই বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার কাজে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকা) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

সোমবার জাপানের টোকিওতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) হেড কোয়াটার্সে জাইকা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তাঁরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জাইকা সাহায্যপুষ্ট চলমান প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সাধন চন্দ্র মজুদার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের বিকল্প নেই। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর থেকে ভোক্তার কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে এ দপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ৬৪ জেলা অফিসের মাধ্যমে কার্যক্রম চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারলে জনগণের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তারা আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে।

জাইকার অর্থায়নে বিভাগীয় পর্যায়ে টেস্টিং ল্যাব হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ল্যাবের পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকে অনিরাপদ খাদ্য যাতে দেশের ভোক্তার কাছে না আসতে পারে তার জন্য ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ পোর্ট এন্ট্রিতেও টেস্টিং ল্যাব স্থাপন প্রয়োজন।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির সিনিয়র ভাইস প্রসিডেন্ট ইমোতো সাচিকো বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উল্লেখ করার মতো। জাপান দক্ষিণ এশিয়ার সাকসেস স্টোরি হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চায়। সেকারণেই মেট্রোরেল, পাতাল রেল ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে জাইকা তথা জাপান সম্পৃক্ত হয়েছে। এতে দুদেশের মধ্যে কৌশলগত বন্ধুত্বও শক্তিশালী হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে জাইকার প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, জনসচেতনতা ও পোর্ট এন্ট্রিতে টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগেও জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

এ সময় খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, ভবিষ্যৎ প্রকল্পে টেকনিক্যাল সাপোর্ট বাড়ানোর পাশাপাশি ফুড রিলেটেড ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা দরকার। এর ফলে বাংলাদেশের জনগণ উপকৃত হবে।

সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম, মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ এবং জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকনোমিক মিনিস্টার নাসির এরশাদ, জাইকার ডাইরেক্টর অসিমা কেনসুকি ও ডেপুটি ডাইরেক্টর ফুজি তরুয়াকি উপস্থিত ছিলেন।

পরে খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জাপানের মিনিস্ট্রি অব হেলথ, লেবার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার এর ফুড স্যানিটেশন মনিটরিং এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/কেআর/ইএস)