পুলিশের নির্যাতনে নয়, সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী রবিউলের মৃত্যু: জিএমপি কমিশনার

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:৫৪

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ী মৃত্যুর অভিযোগে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ সড়ক অবরোধের ঘটনায় পর্যবেক্ষণসহ একটি সুপারিশ কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। সুপারিশে পুলিশের গাফিলতিসহ পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে এক প্রেস কনফারেন্সে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাসন থানা হাজতে বা পুলিশের নির্যাতনে নয়, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম (৪৫) তবে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে ওই থানার ওসিকে ক্লোজড দুই এএসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার পুলিশ পেয়ারা বাগান এলাকা থেকে সুতা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামকে আটক করে। ১৮ জানুয়ারি রাতে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিলে বাসায় ফেরার পথে ঢাকা-বাইপাস সড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় রবিউল গুরুত্বর আহত হন। আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতে তিনি মারা যান। পরে স্বজনদের আবেদনে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পরদিন পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ সড়ক অবরোধ করে ব্যাপক ক্ষতি করে। ঘটনার পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

মোল্যা নজরুল জানান, তদন্ত কমিটি ৮৭ জনের জবানবন্দি নিয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবারসহ সংশ্লিষ্টদেরও বক্তব্য নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকও মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনাজনিত বলে উল্লেখ করেন।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে কমিটি তদন্ত করে পর্যবেক্ষণসহ একটি সুপারিশ প্রদান করেছে। সুপারিশে ওই ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। তবে একজন আটক ব্যক্তিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। থানার সিসি ক্যামেরাও অকেজো ছিল। আটক ব্যক্তিকে রাতে বাসায় পৌঁছে দেওয়া উচিত ছিল।

এসব ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে অবহেলা গাফিলতি রয়েছে। যার কারণে ওসি মালেক খসরুকে ক্লোজড এএসআই মাহবুবুর রহমান এবং নুরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।

প্রেস কনফারেন্সে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জিয়াউল হক, অতিরিক্ত কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেনউপ-কমিশনার (সদর অর্থ) মোইলতুৎমিশ, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এলএ)