তুরস্কে ভূমিকম্প: তুষারপাত এবং বৃষ্টিতে উদ্ধার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত
প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৫ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩০

তুরস্কে হিমাঙ্কের তাপমাত্রা, তুষারপাত এবং বৃষ্টি রাতভর জীবিতদের সন্ধানের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়ারা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে।
তুরস্কের দক্ষিণের একটি প্রদেশ হাতায়ে এক ব্যক্তি বৃষ্টির মধ্যে কাঁদছিলেন। তিনি রয়টার্সকে উদ্ধারকারীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার বর্ণনা দিচ্ছিলেন।
‘তারা শব্দ করছে কিন্তু কেউ আসছে না,’ ডেনিজ বলেন, মাঝে মাঝে হতাশার সঙ্গে তার হাত মুছতে থাকেন।
‘আমরা বিধ্বস্ত। ঈশ্বর...’ তারা ডাকছে। বলছে, ‘আমাদের বাঁচাও।’
‘কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না... সকাল থেকে কেউ নেই।’ বলছিলেন তিনি।
এদিকে সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হোয়াইট হেলমেটের রায়েদ আল-সালেহ নামে একটি উদ্ধারকারী দল বলেছে যে তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা ব্যক্তিদের জীবন বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছে।’
সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তের কাছে তুরস্কে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। এর ১২ ঘণ্টার পার হওয়ার আগে আরও একটি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি প্রদেশে এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। এখনো অসংখ্য মানুষ ধসে যাওয়া শত শত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের ফলে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। একেকটা ভবন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনও তুরস্কে সহায়তা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে। সাহায্য পাঠাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
(ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/এফএ)