আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার জালিয়াতি মামলা

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৫

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বরিশাল জেলা খাদ্য বিভাগে খাদ্য সামগ্রীতে পুষ্টিগুণ বাড়ানোর কাজে জামানত হিসেবে গৌরনদীর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দেয়া ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার ১১টি পে অর্ডার ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার রাতে গৌরনদী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, এলাহী অ্যাগ্রো লিমিটেডের (পুস্টি মিশ্রন মিল) সত্ত্বাধিকারী এবং অগ্রনী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপক আলী রেজাকে আসামী করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করে খাদ্য বিভাগ।

মিলের স্বত্ত্বাধিকারী হিসেবে কাগজপত্রে ফরহাদ হোসেন লেখা থাকলেও তার প্রকৃত নাম নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সি। তিনি গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক।

মামলা দায়ের ও একই সাথে ফরহাদ হোসেনের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করে তার মালিকানাধীন ৩টি মিল কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য অফিসের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংকের গৌরনদীর বাটাজোর শাখার সাবেক ম্যানেজার মোঃ আলী রেজার সহযোগীতায় এই পে-অর্ডার জালিয়াতী করেন ফরহাদ হোসেন। ১১টি পেঅর্ডারের মাধ্যমে সরকারকে জামানত বাবদ ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকা দেয়া হলেও সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে ৭ হাজার ২ শ’ টাকা। এলাহী এগ্রো লিমিটেড খাদ্য বিভাগের খাদ্যে পুষ্টিগুন বাড়ানোর তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান। এই কাজে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত মোট ১১টি পে অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৪ টাকার জামানত দেয় এলাহী এগ্রো লিমিটেড। যা যাচাইয়ে ভূয়া প্রমানিত হয়। খাদ্য বিভাগের হিসেবে জমা হওয়া ২ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার টাকার পে অর্ডারের প্রকৃত মূল্য মাত্র ৭ হাজার ২ শ’ টাকা। ১শ’ টাকার একটি পে অর্ডার জালিয়াতি করে ১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৪ টাকা দেখানো হয়েছে, ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ’ টাকার একটি পে অর্ডার যাচাই করে পাওয়া গেছে ২শ’ টাকা। অন্য ৯টি পে অর্ডারও অনুরূপ জালিয়াতি করে খাদ্য বিভাগে জমা দেয় এলাহী এগ্রো। এছাড়াও ফরহাদ হোসেনের আরও দুটি প্রতিষ্ঠান খাদ্য বিভাগের তালিকাভূক্ত।

অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে মিল মালিক ও গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী জানান, পে-অর্ডার যাচাই বাছাই করে খাদ্য বিভাগ আমরা প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে। গত ৫ বছর পর পে-অর্ডার জালিয়াতির ঘটনা সঠিক নয়।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, খাদ্য বিভাগে পে অর্ডার জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঘকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/এআর)