৪১ নবজাতকের বাড়িতে গিয়ে জন্মসনদ করে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৩

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের নগরকান্দায় উপহার নিয়ে ৪১ জন নবজাতকের বাড়িতে গিয়ে জন্মসনদ তৈরি করে দিয়েছেন ইউএনও মো. মঈনুল হক। এ সময় নবজাতকদের উপজেলার নাগরিক হিসেবে বরণ করে নিয়ে তাদের বাবা-মায়ের হাতে উপহার আর মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন।  এমন আন্তরিকতাপূর্ণ কাজের জন্য এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার কাইচাইল ও পুরাপাড়া ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ব্যতিক্রমী এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ইউএনওর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান স্থানীয়রা।

উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের সুতেরকান্দা গ্রামের যমজ নবজাতক হাসান-হোসেনের বাবা মামুন মিয়া ও মা মুক্তা বেগম ঢাকা টাইসকে বলেন, আমরা প্রথম যমজ সন্তানের বাবা-মা হয়েছি। নতুন অতিথিদের আগমনের খবর পেয়ে সোমবার হঠাৎ করে উপহার-মিষ্টি নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে সন্তাদের জন্মনিবন্ধন তৈরি করে দিয়ে যান ইউএনও স্যার। বিষয়টা আমাদের কাছে ভালো লেগেছে।

আরেক নবজাতক আফনানের মা মেঘলা বেগম বলেন, আগে জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে ঝামেলায় পড়া লাগতো। আর এখন সন্তানের জন্মের পর স্যার মিষ্টি ও উপহার নিয়ে বাড়িতে এসে নিজেই জন্মনিবন্ধন করে দিয়ে গেছেন। এটা সত্যিই আমাদের অবাক করেছে । অপর নবজাতক মনিরুলের মা মনিকা বেগম বলেন, আমার শিশু সন্তানের জন্য স্যার উপহার-মিষ্টি নিয়ে এসেছেন। আমাদের জন্য এটি পরম পাওয়া।

কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা হোসেন খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমি দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমার জীবনে কোনো ইউএনওকে এমন উদ্যোগ নিতে দেখিনি। তার এই উদ্যোগকে জনসাধারন স্বাগত জানিয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন কবির ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমার চাকরী জীবনে বাড়িতে গিয়ে নবজাতকের জন্মসনদ করার নজর দেখিনি। এটা এক অন্যান্য উদ্যোগ। 

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক ঢাকা টাইমকে বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুদের জন্মনিবন্ধন করা আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নবজাতক যখন ভূমিষ্ঠ হয় তখন তার অভিভাবকদের মধ্যে জন্মনিবন্ধন করার বিষয়ে উদাসীন্য ও শৈথিল্যভাব দেখা যায়। সে জন্য নবজাতকের জন্ম নেওয়ার পরপর আমরা উপহার-মিষ্টি নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে জন্মনিবন্ধন তৈরি করে দিচ্ছি। যাতে করে কাউকে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় গিয়ে ঝামেলা পোহাতে না হয়। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/এআর)