বান্দরবানে জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে র‌্যাবের আট সদস্য আহত, পাঁচজন আটক

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪২ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৭

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, ঢাকাটাইমস

বান্দরবানে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলির ঘটনায় বাহিনীটির আট সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচ জঙ্গিকে আটক করেছে র‌্যাব। তবে আটক ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবানের থানচি তমাতুঙ্গীতে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে থানচির রেমাক্রী ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিলে জঙ্গিদের সঙ্গে র‍্যাবের গোলাগুলি শুরু হয়। এখনো থেমে থেমে গেলাগুলি চলছে। বিরতি দিলেই অক্ষত অবস্থায় জঙ্গিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ জন্য কৌশলে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

মহাপরিচালক আরও বলেন, অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩৮ জঙ্গি ও ১৪ কেএনএফ সদস্যকে আটকের পর আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পাহাড়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী নির্মূল অভিযানে র‍্যাব ৮০ শতাংশ সফল হয়েছে। শিগগির শতভাগ সফল হবো।

সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের থানচি লিক্রী সড়কের ২৭ কিলোমিটার নামক স্থানে রেমাক্রী ব্রিজ এলাকার রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংশা ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৫ জনকে আটক করে। এসময় গোলাগুলির ঘটনায় র‌্যাবের ৮ সদস্য আহত হয়। অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।

র‌্যাব মহাপরিচালক জানিয়েছেন, নতুন জঙ্গি দলটিকে অর্থের বিনিময়ে পাহাড়ের দূর্গমাঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করে আসছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। র‌্যাবের অভিযানে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলাসহ বিভিন্নস্থান থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮ জঙ্গি এবং ১৪ কেএনএফ সদস্যকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি বম সম্প্রদায়ের কিছু বিপথগামী যুবক কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তুলে আর পরবর্তীতে তাদের আশ্রয়ে শসস্ত্র প্রশিক্ষণে যুক্ত হয় সমতল থেকে আসা নতুন জঙ্গি দলের বেশ কিছু সদস্য। এদিকে তাদের নির্মূলে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব।

এদিকে গত ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে জঙ্গিদের সঙ্গে র‍্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শূরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সেখান থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

(ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/এসএস/এসএম)