নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে হেনস্তা: ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:২৫ | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।

একই সঙ্গে এরফান সেলিম আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে করা সময়ের আবেদন নামঞ্জুরের পর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।

মামলাটিতে এদিন চার্জশুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি ইরফান সেলিম অসুস্থ মর্মে এদিন তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। আর তার আনজীবী প্রাণনাথ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ব্যস্ত থাকায় চার্জশুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুটি আবেদনই নামঞ্জুর করে ইরফান সেলিমসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন এবং ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় ৬ মার্চ সাক্ষগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

অভিযুক্ত অপর ৪ আসামি হলেন—ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন।

এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।

আদালত অভিযোগ পড়ে শোনালে জাহিদুল, মীজানুর ও দীপু নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। ইরফান সেলিম ও রিপন আদালতে উপস্থিত না থাকায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।

মামলা থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষি মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মমিনুল হক পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/জেডআর/এফএ)