সার্ভিসলেনসহ ঢাকা-সিলেট ৬ লেন নির্মাণে চুক্তি সই

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪৩ | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৯

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ক প্যাকেজ-৩ এর চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।  চুক্তি অনুসারে সরাইল ইন্টারসেকশন হতে বুধন্তী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে।  

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীরর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই করা হয়।

চুত্তিতে সই করেন প্রকল্পের পরিচালক এ কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম, সওজ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (কুমিল্লা জোন) আবু হেনা মোহাম্মদ তারেক ইকবাল, হিগো-মীর আকতারের পক্ষে লিউ শাওমিই এবং চেসিইটিস–এসএলজিসি-পিডিএল-এর পক্ষে জাং লিয়াং।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রিন্সিপাল রওশন আরা মান্নান এমপি, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং, জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. মাছুম সারওয়ার।

অনুষ্ঠানে ফোর লেন সড়ক নির্মাণে কোয়ালিটি (মান) ঠিক হচ্ছে না জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ফোর লেন দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে, এই ফোর লেন করে লাভ কী? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে। এজন্য আবার আলাদা প্রকল্প নিতে হচ্ছে। নবীনগর-চন্দ্রা ফোর লেন সড়ক এক বছর না যেতেই ছেঁড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি অবস্থা? এই ফোর লেন দিয়ে কী হবে।

অনুষ্ঠানে মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর নাসির হোসেন প্রকল্পের কাজের গুণগত মান বজায় রাখার আহ্বান জানান। বক্তব্যে ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল শহিদ ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামরা করেন তিনি।    

প্যাকেজ-৩ এর লট ৬ এর আওতায় বুধন্তি বাসস্ট্যান্ড হতে এস এম স্পিনিং মিল পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১ ফ্রেক্সিবল পেভমেন্ট কাজ করা হবে। এর চুক্তি মূল্য ১ হাজার ৮৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কাজটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে পিডিএল ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান। এই লটে ১৫৫ মিটারের ২৫টি কালভার্ট, ৩৪৭ দশমিক ৫৩ মিটার দৈর্ঘ্যের সাতটি সেতু, ৩ দশমিক ৮৮৩ কিলোমিটার ড্রেন, ১ হাজার ১২০ বর্গ মিটারের বাস বে ও সার্ভিস লেরেনর রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে এই প্যাকেজর আওতায়।

লট নং ডিএস-৫ এর আওতায় সরাইল ইন্টারসেকশন হতে বুধন্তি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার ফ্রেক্সিবল পেভমেন্ট নির্মাণ করা হবে। এর এর চুক্তি মূল্য ১ হাজার ২৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।  ১১টি কালভার্ট, ১১টি সেতু, একটি ওভার পাস, বাস বে ও সার্ভিস লেনে রিজিড পেভমেন্ট ইত্যাদিত নির্মিত হবে। এছাড়া দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে এই প্যাকেজর আওতায়।

ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কটি রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। সিলেট বিভাগে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ, বন, চা-বাগান, পাহাড়, হাওড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর যা বৃহত্তর সিলেট বিভাগের ৪টি জেলাকেই পর্যটন সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলেছে যেখানে প্রতি বছর লাখ লাখ  দেশি বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/এআর)