কেরানীগঞ্জে পৃথক অভিযানে মলমপার্টি ও অজ্ঞান পার্টির ১৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ঢাকার কেরানীগঞ্জে পৃথক অভিযানে আন্ত:জেলা মলম পার্টির ৩ সদস্য ও অজ্ঞান পার্টির ১২ সদস্যসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশ।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কেরানীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ ও  ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় মলম পার্টির ৩ সদস্যর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহ্রত ২দুটি সিএনজি, ২ টি মোবাইল ও নগদ ৪৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এছাড়া ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশের অভিযানে অটোরিকশা চুরি চক্রের মূলহোতাসহ ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে চুরি যাওয়া ১১ টি অটোরিক্সা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিবি মোবাশশিরা হাবিব খান, কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজামান ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবির ইনচার্জ সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মলম পার্টির জুয়েল গাজী (৩৬), কামাল উদ্দিন ওরফে মুন্না (৪৫) ও পারভেজ (৩২) এবং অজ্ঞান পার্টির শানুখা (৪১), মোজাফ্ফর আকন্দ ওরফে স্বপন (৩৫), মো. আবু তাহের (৪৫), মো. সুজন হাওলাদার (২৭), আখি আক্তার (২৩), মো. রাশেদ (৪০), মাসুদ হাওলাদার (৪৮), মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে জয় রাজবংশী (২৭), মো. আকাশ মৃধা (২৫), মো. কাদির মৃধা (৪৫), মো. তপন (২৭) ও মো. আসলাম হোসেন (৪৮)।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার জানান, মলম পার্টির সদস্যরা সিএনজিতে যাত্রীবেশে উঠে যাত্রীদের চোখে মচিরে গুড়া ও মলম ডলে দিয়ে যাত্রীদের সবকিছু লুটে নিয়ে কোন নির্জন জায়গায় যাত্রীকে ফেলে দিয়ে চলে যেতো। আর অটোরিকশা চুরি চক্রের সদস্যরাও রাতের বেলা যাত্রীবেশে অটোরিকশা চুরির উদ্দেশ্যে অটোরিকশা ভাড়া করে। কৌশলে অটোরিকশা চালককে চা, জুস ও বিস্কুটের সারেথ নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে চালকে অচেতন করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যেতো। মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের নামে কেরানীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই সব চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/এসএ)