পাঠাগারে পাঠক ফেরাতে বইমেলায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪১ | প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:২১

এমন এক সময় ছিল যখন বইয়ের সঙ্গে পাঠকদের সম্পর্ক তৈরি হতো পাঠাগারের টেবিলে বসে। তরুণ, শিশু-কিশোর, বৃদ্ধদের অবসর সময় কাটত বিভিন্ন পাঠাগারে। তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানার, সমরেষ মজুমদার, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, হুমায়ূন আহমেদসহ নানা লেখকের বইয়ের মাঝে প্রাণ খুঁজে পেত তরুণ প্রজন্ম। প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে দ্রুতগতিতে। বইয়ের পরিবর্তে এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন। আর এতে পাঠকশূন্য হয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য পাঠাগার।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে শত বছরের পুরাতন পাঠাগার। শূন্য পাঠাগারের দেওয়ালগুলো ভেঙ্গে গেছে। মরিচা ধরে ঝুলে পড়েছে প্রবেশপথে একমাত্র নামফলকও। বইয়ের কাভারের উপর ধূলা পড়ে গেছে। পৃষ্ঠাগুলো পোকায় খেয়ে ফেলছে। পড়ে আছে ভাঙা চেয়ার আর টেবিল। ঘরের এক কোণায় মাকড়শা জাল বেঁধেছে অবহেলিত টেবিল ফ্যানটির উপর। বইয়ের তাকগুলো ঘুনে ধরেছে। ভেঙে যাচ্ছে একেক করে।

পাঠাগারের এমন জীর্ণ দশাকে বাস্তবেই যেন ফুটিয়ে তুলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ এ বাংলা একাডেমি চত্বরে ৮০৯ নং স্টলে গেলে যে কেউ প্রথমে দ্বিধায় পড়ে যেতে পারেন, এটা কি বইয়ের স্টল, নাকি কোনো ভাঙা জীর্ণ ঘর?

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ প্রধান সালমান খান ইয়াছিন জানান, “শত বছরের অনেক পুরাতন পাঠাগার এখন আর নেই। আমরা নতুন বই দিয়ে সে পাঠাগারগুলোকে বাঁচাতে চাই। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সে আবেদন তুলে ধরতে চায় মেলায় আসা সাহিত্য প্রেমীদের কাছে। মেলায় বিদ্যানন্দের স্টল থেকে যে কোনো বই কিনলে আরেকটি বই ফ্রি থাকবে যা অনুদান হিসেবে দেওয়া যাবে প্রত্যন্ত এলাকার পাঠাগারের জন্য। সঙ্গে ক্রেতা শুভেচ্ছাবার্তা লিখে দিতে পারবেন বইয়ের কাভারে।”

প্রতিবছর একুশের বই মেলায় বিদ্যানন্দ এমন জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে বিক্রেতাবিহীন স্টল, বই কিনলে গাছ ফ্রি, অব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক্সের বিনিময়ে বই বিক্রির কার্যক্রম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দেশের বিভাগীয় শহরে নিয়মিত খাবার বিতরণের পাশাপাশি সারাদেশে অসহায় মানুষের জন্য জনকল্যাণমুখী ও মেধাভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য পরিচিত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সাতটি এতিমখানা, পাঁচটি স্কুল, হাসপাতাল, আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প সহ বছরজুড়ে অসংখ্য প্রকল্প রয়েছে বিদ্যানন্দের।

(ঢাকাটাইমস/১০ফেব্রুয়ারি/কেআর/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :