পর্তুগালের ক্যাথলিক চার্চে নির্যাতনের শিকার ৪ হাজারের বেশি শিশু

প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

পর্তুগিজ ক্যাথলিক চার্চে ১৯৫০ সাল থেকে কমপক্ষে ৪ হাজার ৮১৫ শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। নতুন এক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। খবর আল-জাজিরার।

বিষয়টি তদন্তকারী কমিশন সোমবার বলেছে, ৭৭ শতাংশ অপরাধীই যাজক এবং নিহতদের বেশিরভাগই পুরুষ।

কমিশনের প্রধান এবং শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পেড্রো স্ট্রেচ্ট বলেছেন, ‘(আমরা চাই) যারা শৈশবকালে নির্যাতিতদের শিকার হয়েছিলেন এবং নীরবতা ভেঙ্গে প্রতিবাদ করার সাহনী উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাতে। এগুলি একটি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি।’

স্ট্রেচ্ট বলেছেন, চার্চের বাইরে অন্যান্য জায়গার মধ্যে শিশুদের ক্যাথলিক স্কুল, যাজকদের বাড়িতে এবং কনফেসনের স্থানেও নির্যাতন করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা অক্টোবরে বলেছিলেন, অনুমান অনুযায়ী যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে ৪২৪টি বৈধ রেকর্ড সংগ্রহ করেছেন। তারা সতর্ক করে বলেছিলেন, তাদের সাক্ষ্য ইঙ্গিত করে যে শিকারের সংখ্যা ‘অনেক বেশি’।

এরকম গুরুতর পরিস্থিতি কয়েক দশক ধরে চলমান ছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে মহামারির আকারও ধারণ করেছে। চার্চে শিশু নির্যাতনের হাজার হাজার প্রতিবেদন বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমানভাবে প্রকাশিত হয়েছে, এই সমস্যাটি মোকাবেলায় পোপ ফ্রান্সিসের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

এ ছাড়া ফ্রান্সে একটি তদন্তে প্রায় ৩ হাজার ধর্মযাজক এবং ধর্মীয় কর্মকর্তারা ২ লাখের বেশি শিশুকে যৌন নিপীড়ন করার প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে কাজ করা শুরু করে পর্তুগাল। অভিযোগগুলো এসেছে বিভিন্ন পটভূমি ও দেশের মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে বসবাসকারী পর্তুগিজ নাগরিকদের কাছ থেকে।

লিসবনের সহকারি বিশপ আমেরিকাকো আগুয়ার সম্প্রতি বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিস আগস্টে লিসবন সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি সম্ভবত নির্যাতনের শিকার কারো সাথে দেখা করবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এসএটি)