দুই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দুই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। 

গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. রনি ওরফে রাশেদ মাহমুদ ওরফে রনি। তিনি বার বার নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন। 

মো. রনি জামালপুর জেলার বকসিগঞ্জ উপজেলার মৃত আবু বকরের ছেলে।

সোমবার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-২ এর পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাব-২ এর একটি দল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় একটি অভিযান চালায়। অভিযানে দুই মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রনি ওরফে রাশেদ মাহমুদ ওরফে রনিকে গ্রেপ্তার করে। 

র‌্যাব জানায়, ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল রাজধানীর সবুজবাগ থানার একটি মাদক মামলা এবং ২০১৫ সাালের ১৩ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার মাদক মামলার আসামি মো. রনি ওরফে রাশেদ মাহমুদ ওরফে রনি। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিশেষ দায়রা জজ এবং দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ দুটি মামলায় রনিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তিনি এসব মামলায় রায়ের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।        

গ্রেপ্তারকৃত রনির বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি একজন পেশাদার মাদক চোরাকারবারি চক্রের সদস্য। তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, ডাকাতি ও মাদকের চারটি মামলাসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে সীমান্ত জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল রাজধানীর ঢাকায় নিয়ে এসে সহযোগীদের কাছে সরবরাহ করতেন। 

গ্রেপ্তারকৃত রনি দুটি মামলায় ১৬ মাস জেল খেটেছেন। পরে জামিনে বেরিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যান। 

র‌্যাবের ভাষ্যমতে, রনি তার খালুর কাছে থেকে বড় হয়েছে। তাই  তার বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন মামলায় মা-বাবার নামের পরিবর্তে খালা-খালুর নাম দিয়েছিলেন, যা তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়। 

এছাড়াও ২০২৩ সালে ডাকাতির মামলায় নিজের বাবার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দেন। রনির নামে ২০০৭ সালের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে নিজেকে আত্মগোপনে রেখে মাদক ব্যবসা করার জন্য ওই জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, যা  নির্বাচন কমিশন ব্লক করে দিয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত রনি যখনই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন তখনই তিনি একটা ভুল নাম ও ঠিাকানা দিয়ে দেন। যার কারণে তার প্রকৃত মামলা কয়টি তার বিস্তারিত তথ্য জানা যায় না। একটি মামলায় ধরা পড়লে বাকি মামলাগুলো অনলাইনে চেক করলেও নামের বিভ্রাটের কারণে তাকে ধরা যায় না। এভাবে তিনি পরিচয় গোপন করে মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন। 

(ঢাকাটাইমস/২১ ফেব্রুয়ারি/এএ/এফএ)