ধর্ষণ মামলায় পাবনার সাবেক এমপি আরজু কারাগারে

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৭ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু ওরফে ফারুককে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালত আরজুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আরজু। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নিজের নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে বিয়ে ও প্রতারণার ঘটনায় করা মামলায় ১৭ জানুয়ারি আরজুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫। সেই সঙ্গে ২৩ ফেব্রুয়ারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

২০২২ সালের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে পিবিআইকে আদেশ দেন।

তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআইর পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের শেষ দিকে স্বামী বাইরে থাকায় বাদী প্রায় নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন। ২০০১ সালের শেষ দিকে চাচার মাধ্যমে আসামির সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। পরে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে সফল হয়।

বাদীর অভিযোগ, আসামি তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। সামাজিক নির্ভরতা ও একাকিত্বের অবসান ঘটাতে তিনি নতুন সংসার শুরু করতে চান।

পরে ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আসামি বাদীকে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তবে সেই সন্তান গর্ভে আসার পর আসামি বিভিন্ন ছলছাতুরির মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাদীর অনমনীয় মনোভাবের কারণে তা সম্ভব করতে পারেননি আসামি।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার ১৮ লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে তিনি আসামিকে টাকা দেন। আসামি সেই ফ্ল্যাট কিনে দেননি, টাকাও ফেরত দেননি। একপর্যায়ে আসামি বাদীর বাসায় আসাও বন্ধ করে দেন।

একপর্যায়ে বাদী জানতে পারেন, আসামির প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। সেই ঘরে তার কন্যাসন্তান আছে এবং তিনি স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন। তাছাড়া বাদীর কাছে আসামি নিজেকে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে আসামি তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আসামি কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণও করেন। একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে অস্বীকার করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মামলার তদন্তে বাদীর কন্যা সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করে কন্যাসন্তানটি বাদীর গর্ভজাত এবং আসামি আজিজুল হক আরজুর ঔরসজাত বলে প্রতিবেদন এসেছে।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/ডিএম)