সুইজারল্যান্ড আ.লীগের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:০৪

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক শহর জেনেভায় অর্ধ দিবসব্যাপী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ। জেনেভার সুবিখ্যাত ইউওজি মিলনায়তনে দুপুর ১২টা থেকেই সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন শহর থেকে দলে দলে নেতাকর্মী ও শুভনুধ্যায়ীদের আগমন শুরু হয়।

দলের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন- জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং ভাষা শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে কুরআন তেলাওয়াত করেন আবুবকর মোল্লা, গীতা পাঠ করেন অনিল কুমার বণিক এবং ত্রিপিটক পাঠ করেন সমিরন বড়ুয়া জিশু।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুন্নু রানি বণিক মুনের পরিচালনা এবং শশী খানের সহযোগিতায় শিশুসহ সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত ও আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গান পরিবেশন করা হয়। অতপর অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথি সুফিউর রহমান তার গবেষণাধর্মী বক্তব্যে বলেন, বৃটিশ আমলে বাংলার আধুনিকায়নে কলকাতা কেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা বিশেষ অবদান রাখে এবং বাংলা ভাষার উত্তরণে পশ্চিমবঙ্গের অগ্রণী ভূমিকায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থানও গুরুত্ববহ নিয়ামক ছিল। বর্তমানে সার্বভৌম বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনুকূল অবস্থায় থাকায় পরবর্তী শতকগুলোতে বাংলা ভাষার উত্তরণে বাংলাদেশের অধিকতর ও অগ্রণী ভূমিকা রাখার কোন বিকল্প নেই। তিনি মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রচারের পাশাপাশি কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য মার্তৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি কিছু নৃগোষ্ঠীর বর্ণমালাহীন ভাষা সঠিকভাবে সংরক্ষণের প্রতিবন্ধকতাও তুলে ধরেন।

সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম প্রবাসে মাতৃভাষা রক্ষায় স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে মাতৃভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন অবিভাবকদের। সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান দূর-দূরান্ত থেকে আগত ও উপস্থিত সকলকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের উপর তথ্যবহুল বক্তব্য রাখেন ব্লগার, মুক্তিযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক অমি রহমান পিয়াল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল।

এছাড়াও বক্তব্য দেন- ইশরাক আহমেদ নিপুন, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরি চরন সসীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুন্নু রানি বনিক মুন, আজম খান প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপ-রাষ্ট্রদূত সঞ্চিতা হকসহ অনেক কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত কর্মকর্তারা। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোহাম্মদ মহসীন, মোহাম্মদ আকবর আলী, দিভাকার পাল কল্যাণ, আইয়ান জুনায়েদ, মোহাম্মদ আজগর, মোহাম্মদ তারেকসহ আরো অনেকে।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এলএ)