শিক্ষকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা: নাহারিন চৌধুরী

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এ প্রজন্মের জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার নাহারিন চৌধুরী। তিনি পড়াশোনায় একজন গোল্ড মেডেলিস্ট। শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে ওকোড বাই এনার্জিপ্যাকের হেড অব অপারেশন অ্যান্ড ইনোভেশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া নাহারীন চৌধুরী যুক্ত আছেন সান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা পেশায়। সেই বিষয়সহ সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন নাহারিন চৌধুরী।

শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে আছেন। এই পেশা কেমন উপভোগ করছেন?

নাহারিন চৌধুরী: আমার শিক্ষকতা পেশাটা বেশি দিনের না। কিন্তু আমি এটাকে খুবই উপভোগ করছি। আমার অভিজ্ঞতাগুলোকে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শেয়ার করছি আর এটা খুবই আনন্দ দেয় আমাকে।

শিক্ষক হিসেবে আপনি এ পেশাটাকে কিভাবে দেখছেন?

নাহারিন চৌধুরী: শিক্ষকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এছাড়া এই পেশাটা আমার কাছে নিজের জ্ঞানের চর্চা করা বলে মনে হয়। আর যেটা বললাম, অভিজ্ঞতা শেয়ার করাটাই আমার কাছে শিক্ষকতা।

আপনার ছাত্রছাত্রীরা আপনার কাছ থেকে কী শিখছে বলে মনে করেন?

নাহারিন চৌধুরী: ওরা আসলে ফাইনাল সেমিস্টারের স্টুডেন্ট, অলরেডি সবই জানে। আমি যেহেতু ওদের ডাবলিউ এ ডি মোডিউলটা নেই। এখানে আসলে ওরা যা এতদিন শিখছে ওইটার একটা আউটকাম দেয়। মানে সম্পূর্ণ নিজে একটা কালেকশন তৈরি করে। ওরা খুব ক্রিয়েটিভ। আমি ওদের গাইডলাইন করে দেই। বাকিটা ওরাই নিজেরাই করে।

আপনি বেশ অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এটার মূল মন্ত্রটা কী?

নাহারিন চৌধুরী: এটার কোনো মূলমন্ত্র নেই। প্রতিটা শিক্ষক তার সবটুকু বিলিয়ে দেয় স্টুডেন্টদের জন্য। তবে যেহেতু আমি একটি ক্রিয়েটিভ সাবজেক্টে পড়াশোনা করা স্টুডেন্ট পড়াচ্ছি, এখানে আমাকে প্রতিটা স্টুডেন্টকে আলাদাভাবে ট্রিট করতে হয়। আর আমি এই কাজটা খুব মনোযোগ দিয়ে করি। তাছাড়া আমার এখনো অনেক কিছু শেখা বাকি।

আপনার এই পেশায় আসার অনুপ্রেরণা কে?

নাহারিন চৌধুরী: আমার শিক্ষকরাই আমার অনুপ্রেরণা। আমি আজ যা, তা সম্পূর্ণ আমার শিক্ষকদের কাছ থেকে শেখা। উনাদের মত আমি কখনোই হতে পারব না। উনারা আমাকে বিশ্বাস করে এই সুযোগটা দিয়েছেন। আমি উনাদের এই সম্মানটুকু রক্ষা করতে চাই।

নিজের ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হয়েছে। কেমন লাগে ব্যাপারটা?

নাহারিন চৌধুরী: খুবই ভালো লাগার একটা অনুভূতি। আমি আজও টিচারের চেয়ারে বসে স্টুডেন্টদের দিকে তাকিয়ে থাকি আর ভাবি, আমিও একদিন ওই জায়গাটাতে ছিলাম। এটা কেমন যে একটা অনুভূতি, তা আসলে বোঝানোর ভাষা আমার নেই। আমার ইউনিভার্সিটি আমাকে আজ তৈরি করেছে বিধায় আমি এখানে।

নতুনদের নিয়ে আপনার কী বলার আছে?

নাহারিন চৌধুরী: ওরা আমাদের ফিউচার। ওদেরকে আমরা যত ভালো করে গড়ব, আমাদের দেশ তত সামনে এগোবে। ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ, পরিশ্রমী এবং স্মার্ট, আমি ওদের থেকে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু না কিছু শিখি।

(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/এজে)