গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৩, ১৪:২৪
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার কাজ শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
এদিন আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। রাসেলের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবীব। আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
তবে অপর আসামি শামিমা নাসরিন উপস্থিত না হওয়ায় জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী আলমগীর ২০২০ সালের শুরুর দিকে ইভ্যালী অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন।
সর্বমোট ২৮ লাখ টাকার অর্ডার করেন বিকাশ/নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। ইভ্যালী কর্তৃপক্ষ তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে পারেনি। অর্ডারের ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার বাদী তার অর্ডারকৃত পণ্যগুলো বুঝে পাননি।
ইভ্যালী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। তিনি মোট ২৮ লাখ টাকার অধিক অর্ডারকৃত পণ্য বুঝে পাননি। আসামিরা সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের নিকট থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/ডিএম)