বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে আধুনিক কৃষি ও প্রযুক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব: প্রকৌশলী আব্দুস সবুর

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৬

জাফর আহমেদ, ঢাকাটাইমস

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক কৃষি ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে কারিগরি শিক্ষার ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর ঢাকা টাইমসের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।

সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতি, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের ভূমিকা ও তার নির্বাচনী এলাকা নিয়ে কথা বলেন।

আব্দুস সবুরের রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্রলীগের মাধ্যমে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। ১৯৮৭ সালে ছাত্রদলের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি।

স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে সাংগঠনিক সফর ও জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রেখেছেন আব্দুস সবুর।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনেও কাজ করছেন টানা তৃতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া আব্দুস সবুর।

ঢাকা টাইমস: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী কি না?

আব্দুস সবুর: দীর্ঘদিন ধরে আমি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই সুবাধে এলাকার উন্নয়নেও সম্পক্ত হতে পারছি। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির আকাঙ্ক্ষাই থাকে দল থেকে মনোনীত হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মানুষের সেবা করার। সেই ক্ষেত্রে আমিও এর ব্যতিক্রম নই।

জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি, স্থানীয়ভাবে এলাকার মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানুষের সামনে তুলে ধরছি। মেঘনা-দাউদকান্দির জনগণ বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে। মেঘনা-দাউদকান্দির জনগণ আওয়ামী লীগকে অকুণ্ঠ সমর্থন করছে।

ঢাকা টাইমস: আপনার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-১ নিয়ে পরিকল্পনা কি?

আব্দুস সবুর: আমি রাজনীতি করে আসছি মানুষের জন্য। এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। এলাকা নিয়ে আমার বিশেষ ভাবনাও আছে। দল থেকে আমাকে মনোনীত করলে আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে চাই। বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক স্মার্ট নগরী গড়ে তোলা। এছাড়া মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন যাতে বৃদ্ধি পায় সেই লক্ষে কাজ করব। নতুন প্রজম্মকে প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মমুখী করত চাই। আমাদের অঞ্চল বন্যাকবলিত।

আমি পরিকল্পনা করেছি, স্থায়ী বাঁধ দিয়ে যাতে আমাদের এলাকা বন্যামুক্ত হয় এবং কৃষক যাতে তিন ফসল ফলাতে পারে। এলাকায় বেকার সমস্যা রোধ করতে কারিগরি স্কুল, কলেজ ও একটি মেডিকেল কলেজ নির্মাণের চিন্তা রয়েছে। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, যাতে করে প্রশিক্ষণ নেয়ার পর কর্মদক্ষতা ভ্যালু অ্যাড হয়। সর্বোপরি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক নগরী হিসেবে মেঘনা- দাউদকান্দির অবকাঠামো নির্মাণ।

ঢাকা টাইমস: দেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল কতটা পাচ্ছে

আবদুস সবুর: ১৪ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা। দেশের প্রতিটা মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে। করোনায় প্রযুক্তি না থাকলে অথ্যাৎ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হলে সকল কাজ কর্ম স্থবির হয়ে যেত। আজকে দেশের কৃষি, স্বাস্থ্য, ব্যাংক-বিমা, আইসিটি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ সকল পর্যায়ে ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণেই করোনার সময়েও আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল ও গতিশীল ছিল। অনলাইনে অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে। অনেকাংশেই ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করা। উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়া। ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রযুক্তির সর্বশেষ আপডেট ভার্সন যুক্ত করতে পারলে, আমরা সব ক্ষেত্রে আরও ভ্যালু অ্যাড করতে পারব।

ঢাকা টাইমস: সামাজিক মাধ্যমে গুজব-অপপ্রচার মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা কী?

আবদুস সবুর: গুজব-অপপ্রচার দেশের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। গুজবের বিষয়ে দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে আমরা চেষ্টা করছি। দলীয়ভাবে তৃণমূল পর্যায়ে, কাজ করছি। তবে পুরোপুরি না হলেও বহুলাংশে জনসাধারণকে আমরা সচেতন করতে পেরেছি।

গুজব-অপপ্রচারের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গি গোষ্ঠী জড়িত। দেশে-বিদেশে তারা আওয়ামী লীগ আর সরকারে বিরুদ্ধে গুজব-অপপ্রচার চালায়। অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আর যারা বিদেশে বসে গুজব-অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/ডিএম)