মানিলন্ডারিং: জি কে শামীমসহ আট জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৩, ১৭:১০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমসহ আটজনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ প্রত্যাশা করা হয়।

এদিন আদালত আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান বলেন, এ মামলায় জি কে শামীমসহ আটজনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করেছি।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার মামলাটি করে র‌্যাব। এই মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে আদালত। 

এদিকে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার ও যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় বিচার শুরুর আড়াই বছরের মাথায় ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, একসময় সাতজন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে চলা প্রভাশালী ঠিকাদার শামীমের বিরুদ্ধে একে একে দায়ের হয় পাঁচটি মামলা। এর মধ্যে রয়েছে- অর্থ পাচার, মাদক আইনে, অস্ত্র আইনে, অবৈধ সম্পদ অর্জনে, জালিয়াতির মামলা।

(ঢাকাটাইমস/০৬মার্চ/এসএম)