গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত দুই খালাতো ভাইয়ের চাঁদপুরে দাফন

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৩, ২১:২৪ | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৬

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত মানসুর ও আল-আমিন দুজন সম্পর্কে খালাত ভাই। তাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলা এলাকায়।

বুধবার তাদের দুজনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। দুপুরে উভয়ের গ্রামের বাড়িতে পৃথকভাবে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আল-আমিন উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর গ্রামের বেপারী বাড়ির মো. বিল্লাল হোসেন বেপারীর ছেলে। মানসুর উপজেলার পৌর এলাকার উত্তর চেঙ্গারচর গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মোশারফ হোসেন মিয়াজীর ছেলে।

ষাটনল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মোশারফ বলেন, সকালে আল-আমিনের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। দুপরে বাড়িতে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-আমিন রাজধানীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

এদিকে উপজেলার উত্তর চেঙ্গারচর গ্রামের বাসিন্দা সায়মন জানান, দুপুরে মানসুরের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। মানসুর বিবাহিত। তার স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মানসুরের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মরদেহ দেখতে উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসেন।

নিহত মানসুরের ছোট ভাই কাওছার জানান, ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে হাবিব বেডিং স্টোর নামে তাদের একটি দোকান রয়েছে। চার ভাইয়ের মধ্যে মানসুর দ্বিতীয়। আল-আমিন তার খালাতো ভাই। সে মাঝে মধ্যে দোকানে আসত। ঘটনার সময় তাকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন মানসুর।

কাওসার আরও জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে ভাইকে ফোনে পাচ্ছিলাম না। খুঁজতে খুঁজতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এসে আহতদের মাঝে পাইনি। পরে মর্গে লাশের সারি থেকে দেখে দুজনকে পেয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/এলএ)