গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: মতলবে ২ খালাত ভাইয়ের বাড়িতে শোকের মাতম

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২৩, ১০:২৫ | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩, ১১:২৭

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
রাজধানীর গুলিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত মতলব উত্তর উপজেলার আপন দুই খালাতো ভাই মানসুর হোসাইন (৪৩) ও মো. আল-আমিনের বাড়িতে (২৩) বইছে মাতম। স্বজনদের কান্না যেন থামছেই না। 

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করে প্রবাসী বাবার মুখে হাসি ফুঁটানোর স্বপ্ন ছিল আল-আমিনের। এ ঘটনায় আল-আমিনের খালাতো ভাই মানছুর আহমেদও প্রাণ হারিয়েছেন। ছেলে হারানো শোকে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন আল-আমিনের মা। আর তার মালোয়েশিয়া প্রবাসী বাবা বিল্লাল হোসেনও শোকে বাকরুদ্ধ।
আল-আমিন ও তার খালাতো ভাই মানছুর যথাক্রমে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিম লালপুর ও ছেংগারচর গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত আল আমিনের মায়ের কান্না।

বুধবার দুপুরে নিহত দুই স্বজনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুই বোনের বাড়িতেই মাতম চলছে। তাদের স্বজনদের আহাজারি কিছুতেই থামছে না। এমনকি তাদের সান্ত্বনা দিতে আসা প্রতিবেশীরাও যেন ভাষা হারিয়ে ফেলছেন।

নিহত আল-আমিন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলোজি অ্যান্ড সাইন্সের (ইউআইটিএস) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাকি সেমিস্টারগুলো পড়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল তার।

মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের পশ্চিম লালপুর গ্রামের প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের ছেলে আল-আমিন। তার খালাতো ভাই মানছুর একই উপজেলার ছেঙ্গারচর গ্রামের মোশারফ মিয়াজীর ছেলে।

আল-আমিনের ভাই আব্দুল আহাদ বলেন, ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে আমার খালাদের মশারির দোকান আছে। ওখানে আমার ভাইয়াও গিয়েছিল। তারা দু'জন একসঙ্গে ওই মার্কেটে যান। পরে দু'জনই একসঙ্গে মারা যান।

আল-আমিনের ফুফা খোরশেদ আলম জানান, মানছুর সম্প্রতি ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনছেন। ওই ফ্ল্যাটের স্যানিটারি জিনিসপত্র কিনতে সে আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্দিকবাজার গিয়েছিল। এ সময় সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাত ১১টার পর লাশ বুঝে পেয়েছি। পরে জানাজা শেষে বুধবার সকালে নিহত দু’জনকেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 
(ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/এআর)