জাপানি দুই শিশুর অভিভাবকই ডেসপারেট, উল্টো আমরা বিপদে আছি: আপিল বিভাগ

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২৩, ১২:১০ | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩, ১২:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাপানি দুই শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তাদের মা-বাবার আইনি লড়াইয়ের বিষয়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, ‘সব সমস্যার সমাধান আদালতে হয় না। দুই শিশুর অভিভাবকই ডেসপারেট, উল্টো আমরা বিপদে আছি।’

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ থেকে এমন মন্তব্য আসে। এদিন দুই জাপানি শিশু দেশের বাইরে যেতে পারবে না বলে আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত মামলাটি তিন মাসের মধ্যে ঢাকা জজ কোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আদালতে শিশুদের বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আকতার ইমাম। জাপানি মা নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি। শুনানিকালে মা নাকানো এরিকো আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জাপানি আইন অনুযায়ী ২০০৮ সালের ১১ জুলাই দেশটির চিকিৎসক এরিকোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বাংলাদেশের শরীফ ইমরান। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তারা তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তারা হলো জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা। মালিকা, লিনা ও হেনা টোকিওর চফো সিটিতে আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসআইজে) শিক্ষার্থী ছিল।

২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরান বিয়ে বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) আবেদন করেন। ২১ জানুয়ারি ইমরান এএসআইজে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ এরিকোর সম্মতি না থাকায় তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে ইমরান তার মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে বাসস্টপ থেকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।

সে বছরের ২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে তার সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ২৮ জানুয়ারি এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শিশুদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সাক্ষাতের আদেশ দেন। ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।

এরিকোর অভিযোগ, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান তার মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট নেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ইমরান তার দুই মেয়ে জেসমিন ও লাইলাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

(ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/ডিএম)