ইবি উপাচার্যের অডিও ফাঁসের নেপথ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি

প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৮ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৯

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সালামের কন্ঠসদৃশ 'নিয়োগ সংক্রান্ত' বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস ও বিভিন্ন সময় শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সদস্যদের নামে অডিও-ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার এবং নেপথ্যে মানুষদের চিহ্নিত করার জন্য ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, বিগত দুই বা তিন সপ্তাহ যাবত এবং ইতোপূর্বেও বিভিন্ন সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন, শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক ক্ষেত্রে অডিও, ভিডিও ধারণ করে ফেক আইডি খুলে তা গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় প্রচার করা হচ্ছে। কখনও কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মাইক বাজিয়ে এ ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। একই সঙ্গে বিষয়গুলো সামাগ্রিকভাবে খতিয়ে দেখা ও এসবের নেপথ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও আইসিটি সেলের সিস্টেম এনালিস্ট ড. নাঈম মোরশেদকে  সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, আইআইইআর-এর পরিচালক অধ্যাপক মামুনুর রহমান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাদেক আলী।

কমিটিতে কর্তৃপক্ষের কাছে যথাশিগগির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এই কমিটি প্রয়োজনে যেকোন সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর, পেশাদারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত,  গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে পৃথক দুটি ফেসবুক আইডি থেকে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠসদৃশ বেশ কয়েকটি আলাপন ফাঁস হয়। অডিওগুলোতে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ সংক্রান্ত আলাপ করতে শোনা যায়। অডিও ফাঁসের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি ইবি থানায় জিডি করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেন চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। গোপন ডিভাইসের খোঁজে ভিসির কার্যালয়ে ও বাসভবনে তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত ১৯ ও ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোট পাঁচটি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একান্ত সচিব আইয়ূব আলীকে অব্যাহতি দেন উপাচার্য।

এই অডিও ফাঁসের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক সালামের অবস্থান জানতে চেয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। এছাড়া সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিলেন তারা।

(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/এলএ)