যুবলীগ কর্মীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চার আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০২৩, ২১:২১

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফেনীর সোনাগাজীতে নিজঘর থেকে মোখসুদ আলম বিপ্লব (৩৬) নামে এক যুবলীগ কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চার আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার ধারায় মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী। 

মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ রফিক, চরচান্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাড়াইতকান্দি হোছাইনিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলী মর্তুজা ও চরচান্দিয়ার যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ করিম। 

বৃহস্পতিবার রাতে আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে একই ঘটনায় গত ৮ মার্চ বুধবার নিহতের মামা আবুল হাশেম বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছিলেন।

পুলিশ ও নিহতের স্ত্রীর এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সুজাপুর গ্রামের চুনি মাঝি বাড়ির নূরুল হক খোকা মিয়ার ছেলে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মোখসুদ আলম বিপ্লবের বসতঘরের শয়ন কক্ষের (বুতের) আঁড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় গত ৮ মার্চ বুধবার দুপুর ২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন আসামিদের সঙ্গে তার স্বামী বিপ্লবের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জেরে আসামিরা তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। তার স্বামী তার ব্যবহৃত ফেসবুক লাইভে এসে এর প্রতিকারও চেয়েছিলেন। তার কাছেও সবসময় দোয়া চাইতেন। গত কয়েকদিন যাবৎ তিনি তিন সন্তান নিয়ে তার পিতার বাড়িতে ছিলেন। বুধবার স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সোনাগাজী থানায় গেলে থানায় স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। ঘটনার দিন তার শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম ঢাকার একটি হাসপাতালে ছিলেন। 

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান বলেন, বিপ্লবের মামা আবুল হাসেম বাদী হয়ে গত বুধবার সোনাগাজী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফনের পর তার স্ত্রী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য।

পুলিশ আরও জানায়, মোখসুদ আলম বিপ্লবের বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় চারটি ডাকাতি ও চারটি মাদক আইনের মামলাসহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো মাথায় নিয়ে তিনি একাধিকবার জেলও খেঁটেছেন। 

২০২২ সালের আগস্ট মাসে চরচান্দিয়া ইউনিয়নে ইয়াবা উদ্ধারের একটি ঘটনায় অন্য একজনের সঙ্গে মোখসুদ আলম বিপ্লবকে আসামি করে মামলা রুজু এবং ঘটনায় জড়িত যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিনের নাম বাদ পড়ায় বিপ্লব আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ রফিক ও থানা পুলিশকে দায়ী করেন। তৎকালে নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে প্রতিকার চাইতেন।

(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/এলএ)